সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে নারীদের ৬০ ভাগ এবং পোষ্য কোটা ২০ ভাগ বাতিল করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
গত ১৮ মার্চ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে নারী ও পোষ্য কোটা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। তারেক রহমান নামে এক প্রার্থীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভুঁইয়া এ রিট দায়ের করেন।
রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) ৫ জনকে বিবাদী করা হয়।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৮ অক্টোবর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচারের পর বিভিন্ন গনমাধ্যম থেকে জানা গেছে যে, শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প-৪ (পিইডিপি) এর আওতায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৫ হাজারের অধিক সহকারী শিক্ষক নেওয়া হবে। কিন্তু ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় কোটা প্রথা বাতিল করে।
পরবর্তী সময়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর গত ২০১৪ সালের ৪ এপ্রিল একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে ৬০ শতাংশ নারী, ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা এবং পুরুষ প্রার্থীদের জন্য ২০ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। তারা তাদের নিজেদের স্বার্থে উক্ত প্রজ্ঞাপনের অষ্টম অনুচ্ছেদে বিষয়টি উল্লেখ করে। যা জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় ২০১৮ সালের ৪ জুলাই কোটা বাতিল সংক্রান্ত পরিপত্র ও সংবিধানের ২৭, ২৯ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি।
রিটকারীর আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভুঁইয়া জানান, উক্ত কোটা বন্টনের ফলে সমাজের নিম্ন শ্রেনীর তথা দিনমজুর, শ্রমিক, রিক্সাচালক, কৃষকের সরকারি চাকরি প্রত্যাশী সন্তানদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হবে। যা তাদেরকে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ লাভের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে।