আমরা প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে নিরাপত্তা দিতে পারবো না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) মোহা. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, “থার্টিফার্স্ট নাইটে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে অনুরোধ করার পরও কিছু কিছু এলাকায় আতশবাজি, পটকা ফোটানোর ঘটনা ঘটেছে। এ জন্য জনগণের সচেতনতা দরকার।”
শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে গুলশান-২ চত্বরে থার্টিফার্স্ট নাইটের নিরাপত্তার ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল ইসলাম বলেন, “অনেক ঘরেই অসুস্থ বা বয়স্ক রোগী আছে। তাই অনুরোধ করা হয়েছিল যেন কেউ পটকা কিংবা আতশবাজি না ফোটায়। এগুলোতে ভীতসন্ত্রস্ত কিংবা দুর্ঘটনায় পড়তে পারেন। এ কারণেই এসব না করার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।”
আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএস থেকে হামলার হুমকি পেয়ে রাজধানীর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, “আইএস থেকে গতরাতে (বৃহস্পতিবার) আমরা একটি ম্যাসেজ পেয়েছি। এ ধরনের বর্ষপূর্তি যেহেতু তাদের দৃষ্টিতে বিধর্মীদের অনুষ্ঠান, সেজন্য তারা মুসলমান যেকোনো দেশেই এ ধরনের অনুষ্ঠান হলে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে।”
ডিএমপি কমিশনার বলেন, “এটা গ্লোবাল একটা হুমকি এবং তাদের ফলোয়ার যেখানেই আছে সেখানে যেমন সামর্থ্য আছে তা নিয়ে হামলার আহ্বান জানিয়েছিল।”
শফিকুল ইসলাম বলেন, “এই হুমকি আমাদের জন্য খুব একটা গুরুত্ব বহন করে না। আপনারা জানেন আইএসের তেমন কোনো বেইজ নেই। তারপর ওদের কেউ যদি উৎসাহী হয়ে লোন উলফ হিসেবে কোথাও হামলা করে সেই আশঙ্কা থেকে আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ কঠোর করেছি।”
ডিএমপি কমিশনার আরও জানান, গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, বারিধারাসহ যেসব এলাকায় পুলিশের বিধিনিষেধ ছিল সেসব এলাকার জনগণকে সুশৃঙ্খলভাবে তাদের আবাসস্থলে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তারা যেন নিজস্ব যানবাহনে পৌঁছাতে পারেন সেজন্য কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ দিয়ে তাদের জন্য প্রবেশ পথ রাখা হয়েছে। তবে এসব এলাকায় কোনো বহিরাগতকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি না।