• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই, ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২, ০৮ মুহররম ১৪৪৬

‘প্রতি উপজেলায় ফায়ার স্টেশন নির্মাণ শেষ পর্যায়ে’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১, ০৫:৫১ পিএম
‘প্রতি উপজেলায় ফায়ার স্টেশন নির্মাণ শেষ পর্যায়ে’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, “দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।”

রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর ফায়ার সার্ভিস ট্রেনিং কমপ্লেক্সে ৪১তম ব্যাচের অফিসার্স ফাউন্ডেশন কোর্সের সমাপনী কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমাদের ক্ষমতা গ্রহণের আগে দেশে ফায়ার স্টেশন ছিল মাত্র ২০৪টি। এখন সারা দেশে চালু ফায়ার স্টেশন ৪৫৬টি। চলমান প্রকল্পগুলো শেষ হলে ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা হবে ৫৬৫টি ও জনবলের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়াবে ১৬ হাজার।”

মন্ত্রী বলেন, “আমরা প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন অনুযায়ী এ জনবলকে ২৫ হাজারে উন্নীত করার জন্য ফায়ার সার্ভিসের সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেছি। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এখন আর আগের দমকল বাহিনী নয়। আমরা ফায়ার সার্ভিসকে সব দিক থেকে সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে এর সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছি। এ প্রতিষ্ঠানটি এখন বহুমাতৃক সেবাকাজে নিয়োজিত। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরকে ঢেলে সাজানোর জন্য নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে।”

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা আশা করি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানকে ধরে রাখবেন। নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে তা আরও শাণিত করবেন। আরেকটি বিষয় সব সময় মনে রাখতে হবে, এটি একটি ইউনিফরমধারী সুশৃঙ্খল বিভাগ। প্রতিটি ক্ষেত্রে আপনাদের শৃঙ্খলার মান বজায় রাখতে হবে।”

এ সময় তিনি ৪১তম ব্যাচের অফিসার্স ফাউন্ডেশন কোর্সের সমাপনী কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আগামী দিনে আপনারাই হবেন ফায়ার সার্ভিসের মূল চালিকা শক্তি। সুন্দর মন-মানসিকতা এবং শৃঙ্খলাপূর্ণ আচরণ দিয়ে এ বিভাগের সুনাম ও মর্যাদা বৃদ্ধিতে আপনারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন বলে আমি আশা করছি।”

মন্ত্রী আরও বলেন, “দেশের সব মহলের কাছে ফায়ার সার্ভিসের আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ভয়াবহ কিছু দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন, তা দেশের সব মানুষের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। সাধারণ মানুষের কাছে আপনাদের কাজের এ যে স্বীকৃতি ও সম্মান- এটি ধরে রাখতে হবে ও উত্তরোত্তর এটিকে আরও মর্যাদাপূর্ণ স্থানে উন্নীত করতে হবে। সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের ভাবমূর্তি ও মর্যাদা বৃদ্ধিতে আপনারা সব সময় আন্তরিক ও নিবেদিত থাকবে।”

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ১০০ একর জায়গা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফায়ার একাডেমি’ করার জন্য। আগে এ প্রতিষ্ঠানের ১০তলা ভবনের ওপরে অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধারকাজ করার সক্ষমতা ছিল না। আমরা এ সক্ষমতাকে ২০ তলায় উন্নীত করেছি। আগামী বছর ৬৮ মিটারের ৫টি টার্নটেবল লেডার এই বহরে যুক্ত হবে। তখন এ সক্ষমতা ২২তলা পর্যন্ত উন্নীত হবে।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, “ঝুঁকিভাতা দেওয়া, পূর্ণাঙ্গ রেশন ইউনিট চালু, ৩ রঙের মর্যাদাপূর্ণ কমব্যাট পোশাক প্রবর্তন, রাষ্ট্রীয় পদক সংখ্যা ও সম্মানী বৃদ্ধি এবং ফায়ারফাইটার ও অফিসারসহ ৫টি পদের বেতন গ্রেড বৃদ্ধি করা হয়েছে। কাজের সক্ষমতা ও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর এ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার মাধ্যমে আমরা বাহিনীকে বিশ্বমানের একটি সেবা বাহিনীতে পরিণত করবো।”

কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্যারেড কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন অধিদপ্তরের উপসহকারী পরিচলক মো. আনোয়ারুল হক। প্যারেড অ্যাডজুটেন্ট ছিলেন ওয়ারহাউজ ইন্সপেক্টর মো. নাজিম উদ্দিন সরকার। 

এ সময় পতাকাবাহী দলের নেতৃত্ব দেন জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর মো. শামীম আহম্মেদ, প্রথম কনটিনজেন্টের নেতৃত্ব দেন প্যারেড অ্যাডজুটেন্ট এবং দ্বিতীয় কনটিনজেন্টটির নেতৃত্ব দেন স্টেশন অফিসার মো. জিল্লুর রহমান।

Link copied!