তিন মাসের জন্য শুধু তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয় বরং জাতীয় সরকার সব সমস্যার সমাধান বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। তিনি আরও বলেন, চা খেতে এবং জনগণের টাকা নষ্ট করতে বঙ্গভবনে যাব না।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় এফডিসি-সংলগ্ন দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
অলি আহমদ বলেন, “রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ মানে হচ্ছে চা-চক্র। ইতোপূর্বেও আলোচনা হয়েছে, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত কোনো ফল পাইনি। এই সংলাপে যাওয়া অর্থহীন।”
এলডিপির সভাপতি বলেন, “রাষ্ট্রপতি ভালো মানুষ। ডেপুটি স্পিকার থেকে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। তিনি সবচেয়ে ভাগ্যবান মানুষ। ১৯৯৬ সালের পর থেকে ৫ বছর ছাড়া তিনি বাকি সময় বড় বড় পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন এবং আছেন। তিনি আমার বন্ধু মানুষ। তার সঙ্গে দেখা করতে, চা খেতে কোনো আপত্তি নেই। তবে যেই বিষয় নিয়ে তিনি আমাদের অনুরোধ করেছেন যাওয়ার জন্য, এটার কোনো যৌক্তিকতা নেই। কারণ, সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রপতির কোনো ক্ষমতা নাই।”
কর্নেল অলি আহমদ আরও বলেন, “কোনো নিরপেক্ষতা নেই, জনগণের অধিকার নেই, সদাসর্বদা বিরোধী দলের ওপর নির্যাতন, অত্যাচার, হামলা-মামলা এমনকি বিশেষ করে বিএনপির প্রায় ৫ লাখের বেশি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বিরোধী দলকে ঘর থেকে বের হতে দিচ্ছে না, সংবাদপত্রকে মতামত প্রকাশ করতে দিচ্ছে না। সব ক্ষেত্রে একটা নৈরাজ্য। বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠান নাই যেটা সঠিকভাবে চলছে। আওয়ামী লীগের জন্ম থেকে এযাবৎ কখনো সুষ্ঠু ভোটে নির্বাচিত হয় নাই।”
এ সময় আত্মসমালোচনা করে কর্নেল অলি বলেন আহমদ, “আজকে এই সংকটের পেছনে আমিও দায়ী। এজন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চাই। কারণ, ১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সময়ে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা বাড়াতে যে প্রক্রিয়া হয়েছে, তাতে আমারও অনেক ভূমিকা ছিল। তখন যদি আমি বুঝতাম তাহলে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনতাম।”
অলি আহমদ বলেন, “সবগুলো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গেছে। অনেকে বলেন, কেয়ারটেকার সরকার চাচ্ছেন। ক্ষমতায় যেতে এত তাড়াহুড়ো কেন? সকল প্রতিষ্ঠানে ভারসাম্য আনতে কাজ করতে হবে।”
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য নূরে আলম ও আওরঙ্গজেব বেলাল, যুগ্ম মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটু ও বিল্লাল হোসেন মিয়াজীসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।