• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

কমেছে মুরগির দাম, সবজিতে আগুন


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২২, ০১:৫৮ পিএম
কমেছে মুরগির দাম, সবজিতে আগুন

বেশ কয়েক সপ্তাহ ঊর্ধ্বগতির পর কমতে শুরু করেছে মুরগির দাম। তবে এখনো দাম পুরোপুরি হাতের নাগালে না আসায় স্বস্তি ফেরেনি ক্রেতার মনে। এদিকে পৌষের শেষে শীতের মধ্যেও ক্রেতার ঘাম ঝরাচ্ছে সবজি বাজারের আগুন।

শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত কয়েক সপ্তাহ চড়া দামের পর কিছুটা কমেছে মুরগির দাম। বাজার ভেদে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা। এর আগের সপ্তাহে একই জাতের মুরগির দাম ছিল ১৯৫ থেকে ২০০ টাকা কেজি। অর্থাৎ, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে প্রায় ২৫ টাকা।

এছাড়া দুই সপ্তাহ আগে ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া সোনালি জাতের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা। লেয়ার জাতের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা।

প্রকার ভেদে মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা থেকে ৬০ টাকা কমলেও স্বস্তি ফেরেনি ক্রেতার মনে। কারণ রাজধানীর বাজারগুলোতে স্বাভাবিক সময়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয় ১১০ থেকে ১২০ টাকা, সোনালি ২২০ থেকে ২৪০ টাকা এবং লেয়ার ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা।

কারওয়ান বাজারে মুরগি কিনতে আসা মো. মোস্তাকিম হাসান বলেন, “গত কয়েক সপ্তাহে মুরগির দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। দুই সপ্তাহ আগেও ব্রয়লার মুরগি কিনতে হয়েছে ২০০ টাকা কেজি। এই সপ্তাহে দাম কিছুটা কমেছে। তবে সেটা মোটেও স্বস্তির নয়। কারণ এই জাতের মুরগির দাম স্বাভাবিক সময়ে আরো অনেক কম থাকে।”

সরকারের যথাযথ মনিটরিংয়ের না থাকায় ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছামতো নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে বলে অভিযোগ করেন এই ক্রেতা।

এদিকে ব্যবসায়ীরা বলেছেন, শীতকালে মুরগির উৎপাদন একটু কম হয়। পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে এখন সরবরাহ বাড়ায় দামও কমতে শুরু করেছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দাম আরো কমবে বলে জানান মুরগি ব্যবসায়ীরা।

মুরগির দাম বাড়ার পেছনে বিক্রেতারা সরবরাহকে অজুহাত হিসেবে দেখালেও, সবজির দাম বৃদ্ধির কোনো কারণ তারা দেখাতে পারেননি। অন্যান্য বছর শীতকালে সবজির দাম একেবারে কম থাকলেও এবার দেখা যাচ্ছে উল্টো চিত্র। স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি সবজি। এতে বাজার করতে এসে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষদের।

বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। যা গত সপ্তাহেও ছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে শশার দাম বেড়েছে প্রায় তিনগুণ। পৌষের এই সময় প্রতি পিছ ফুলকপি ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হলেও এবার বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, গাজার ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মূলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শালগম ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ থেকে ৭০ টাকা।

সবজির দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বলেন, তারা নিজেরাই আড়ত থেকে বেশি দামে সবজি কিনে আনছেন। যার কারণে বেশি দামেই বিক্রি করছেন। সামনে দাম আরো বাড়তে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন ব্যবসায়ীরা।
 

Link copied!