বেসরকারী এবি ব্যাংকের ১৭৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ মামলায় ব্যাংকটির ১৫ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাদের বিদেশযাত্রায়ও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এদিন আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, “প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয় এবি ব্যাংকের ১৬৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে। এই সূত্র ধরে গত ৯ জুন একটি মামলা হয়। মামলায় ১৭ জনকে আসামি করা হয়। ১৭ জনের মধ্যে আসামি শহীদুল ইসলাম ও আব্দুর রহিম আগাম জামিনের আবেদন করেন। আগাম জামিনের পরে তারা নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পন করেন। নিম্ন আদালত তাদেরকে জেলে পাঠিয়ে দেন।”
এরপর জেল থেকে তারা জামিন চেয়ে নিয়মিত আপিল দায়ের করেন। আজকে আদালতে শুনানি শেষে আদালত এ দুজনের জামিন প্রশ্নে রুল দেন বলে জানান তিনি।
একই সঙ্গে আগামী সাত দিনের মধ্যে বাকি ১৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি এই ১৫ জন যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্যও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
১৫ জন আসামি হলেন- মো. এরশাদ আলী (৫৩), এবিএম আব্দুস সাত্তার (৬২), আনিসুর রহমান (৬০), মো. রুহুল আমিন (৪৭), ওয়াসিকা আফরোজী (৫৯), মুফতি মুস্তাফিজুর রহমান (৪৯), সালমা আক্তার (৬৩), মোহাম্মদ এমারত হোসেন ফকির (৪৫), মো. তৌহিদুল ইসলাম (৩৮), শামীম এ মোরশেদ (৫০), খন্দকার রাশেদ আনোয়ার (৪৫), সিরাজুল ইসলাম (৩৯), মাহফুজ উল ইসলাম (৪৩), মশিউর রহমান চৌধুরী (৬১), শামীম আহমেদ চৌধুরী।