বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মেয়াদ শেষ হলেও আইন অনুযায়ী কোনো শূন্যতা সৃষ্টি হবে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (বাংলা পাঠ) এবং জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন ২০২১ এর মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিশ্বাস করে গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি নির্বাচন, সেজন্যই তার সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে। যার ফসল হচ্ছে আজকের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র, নির্ভুল ভোটার তালিকা, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম), নির্বাচন কমিশনের আধুনিক অবকাঠামো, জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন ২০২১, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশন আইন ২০২২ ও নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালীকরন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
আনিসুল হক বলেন, “স্বাধীনতার পর বিগত ৫০ বছরে বাংলাদেশে অনেক সরকার এসেছে, কিন্তু কেউ এই আইন করার সাহস দেখায়নি যা দেখিয়েছেন শেখ হাসিনা। এ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন নির্বাচন কমিশনকে এভাবেই সহযোগিতা করে যাবে।”
মন্ত্রী আরও বলেন, “মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। যা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে রচনা করেছিলে মুক্তিযোদ্ধারা। তারা আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন, মর্যাদা দিয়েছেন। জাতিকে দিয়েছে বীরত্বের তকমা। তাদের অবদান ভুলে গেলে চলবে না। নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান তুলে ধরতে হবে। তাদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত করতে হবে।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের স্মৃতিচারণ করেন এবং উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
এদিকে শারীরিক অসুস্থতার কারণে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার এবং করোনা পজিটিভ হওয়ায় নির্বাচন কমিশনার ব্রি: জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী (অব.) অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি।