“বৃষ্টির পানিতে মরিচ পচে গেছে, তাই বাছাই করছি। শুধু মরিচ নয়,পচে যাওয়া সবজিগুলো ময়লার গাড়িতে ফেলে দিয়েছি। বাজারে ক্রেতা কম। ২২০ টাকা কেজিতে মরিচ কিনে বিক্রি করছি ২০০ টাকায়। শিম ৮০ টাকায় কিনে বিক্রি করছি ৬০ টাকায়। একদিকে পচে যাওয়া মরিচ ফেলে দিতে হচ্ছে। অপরদিকে কেজিতেও লোকসান খেতে হচ্ছে। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ৮/৯ হাজার টাকা লোকসান। ছোট দোকানে এই লোকসান বড় ক্ষতি।”
আফসোস করে কথাগুলো বলেছিলেন রুমা আখতার নামের কারওয়ান বাজারের একজন নারী সবজি বিক্রেতা। দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে সবজি পচে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ফুটপাতে বসা এই সবজি বিক্রেতা।
রোববার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, রুমার মতো অনেক বিক্রেতা সবজি বাছাই করছেন। আলাদা করছেন ভালো আর পচা সবজি।
কথা হয় অনেক দোকানির সঙ্গে। এসময় সকলেই তাদের হতাশার কথা জানান। লোকসানের ঘাটতি পূরণ হবে কিনা জানতে চাইলে বলেন, “বৃষ্টিপাত কম আর বাজারে ক্রেতা সমাগম বাড়লে শীঘ্রই পূরণ হবে লোকসানের ক্ষত।”
বাজারে আবু হানিফ নামের এক সবজি বিক্রেতা সঙ্গে কথা হয়। তার দোকানে দেখা যায় বিক্রি না হওয়ায় লাল শাকের অধিকাংশ আঁটি পচে গেছে। তিনি বলেন, “কাঁচা শাক-সবজি থাকলেই নষ্ট হয়ে যায়। বৃষ্টির কারণে বিক্রিও কমেছে। লালশাক নিয়ে আসছিলাম, সেসব পচে যাচ্ছে। টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার লোকসান। নতুন সবজি কিনে বিক্রি করবো, তার উপায় নেই। নতুন সবজি আসছে না। আর আসলেও দাম বেশি। ক্রেতা কিনতে চায় না।”
রবি্উল নামের আরেক সবজি বিক্রেতা বলেন, “কালকে ১৭ হাজার টাকার মাল রেখে গিয়েছিলাম। বৃষ্টির পানিতে রাস্তা ডুবে গিয়েছিল। তাই বিক্রি করতে পারি নাই। বাসি সবজি হওয়ায় কেনা দামে বিক্রি করতে হয়েছে। লাভ করতে পারি নাই।”
কথা হয় মোশারফ নামের আরেক সবজি বিক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, “বৃষ্টি কারণে ক্রেতা কম। কিনে আনা সবজিগুলো বিক্রি করতে পারি না। কেনা দামে ছাড়তে হয়। লোকসান তো হচ্ছেই। কিছু সবজি পচে যাচ্ছে।”