• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর, ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

বুদ্ধিজীবী হত্যার বিচার এখনও চলমান: প্রধানমন্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৪, ২০২২, ০৯:৪৯ এএম
বুদ্ধিজীবী হত্যার বিচার এখনও চলমান: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার ২০০৯ সাল থেকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী মানবতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে। বিচার এখনও চলমান রয়েছে। অনেক বিচারের রায়ও কার্যকর হয়েছে। রায় কার্যকর হওয়ার মধ্য দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মা শান্তি পেয়েছে।” 

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। এই দিন সকালে প্রধানমন্ত্রী শহীদ বুদ্ধিজীবীসহ সব শহীদ মুক্তিযোদ্ধার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তাদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কময় দিন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও স্বাধীনতার বিরোধী অপশক্তি বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। কুখ্যাত মানবতাবিরোধীদের যারা লালন-পালন ও রক্ষার চেষ্টা করছে, তাদেরও একদিন বিচার হবে।”

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ বাঙালি জাতি চিরদিন গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, "পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে নিরীহ ও নিরস্ত্র বাঙালির ওপর হামলা চালিয়ে হত্যাযজ্ঞ শুরু করলে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। জাতির পিতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

“মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় পাকিস্তানের দোসর জামাতসহ ধর্মান্ধ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। তারা রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনী গঠন করে পাক হানাদার বাহিনীকে সহায়তা করার পাশাপাশি হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নি সংযোগ লুটতরাজ করে। বাঙালি জাতির বিজয়ের প্রাক্কালে তারা দেশের শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, প্রকৌশলী, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদসহ দেশের মেধাবী সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা ও গুম করে। তাদের মধ্যে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, মুনীর চৌধুরী, আনোয়ার পাশা, শহীদুল্লাহ কায়সার, গিয়াসউদ্দিন, ডা. ফজলে রাব্বি, আবদুল আলীম চৌধুরী, সিরাজউদ্দীন হোসেন, সেলিনা পারভীন, ড. জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতাসহ আরও অনেকে।  স্বাধীনতাবিরোধীরা পরিকল্পিত নৃশংস এ হত্যাযজ্ঞের মধ্যদিয়ে পরাজয়ের জঘন্যতম প্রতিশোধ নেয়।” উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, “মহান মুক্তিযুদ্ধের এ পরাজিত শক্তি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যসহ হত্যা করে। পৃথিবীর জঘন্যতম এ হত্যাকাণ্ডের মধ্যদিয়ে তারা হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করে।” 

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ’৭১-এর ঘাতক, মানবতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধী জামাত-মৌলবাদীচক্র এবং গণতন্ত্র বিরোধী অপশক্তিকেপ্রতিহত করে দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা এবং গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে সবাইকে দায়িত্বপালনের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
 

Link copied!