রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলায় বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাত থেকে চেকপোস্ট ও টহল বাড়ানো হয়। নিরাপত্তা জোরদার-সংক্রান্ত নির্দেশনা পুলিশের মাঠ প্রশাসনের কাছে গেছে। ভোর ৫টা থেকে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত থাকছে বিশেষ নজরদারি। পুলিশ, ডিবি, সিটিটিসিসহ বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরা নিরাপত্তায় থাকবেন।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের ডিসি ইবনে মিজান গণমাধ্যমকে বলেন, ভোর ৫টা থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টা বিশেষ নিরাপত্তা থাকবে। প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা টহল, চেকপোস্ট থাকছে। তবে ওই সাড়ে ৩ ঘণ্টাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। টানা পার্টি, ছিনতাইকারী ও নাশকতাকারীরা ভোরের সময়টা বেছে নেয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আরেক কর্মকর্তা জানান, রাজধানীর পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং নৈরাজ্য ঠেকাতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। একটি পক্ষ নানা গুজব ছড়িয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে। তাদের ওপর নজর রাখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
রমনা বিভাগের ডিসি মাসুদ আলম বলেন, অপরাধীদের নির্বিঘ্ন চলাচল রুখতে বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। টহল ও চেকপোস্টে দায়িত্ব পালনে অবহেলা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজধানীর অনেক এলাকায় বেড়েছে ছিনতাইকারীর দৌরাত্ম্য। যাত্রাবাড়ীর কাজলা পেট্রোল পাম্প এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রাতে জটে আটকে পড়া যানবাহনের যাত্রী-চালকরা ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন। কিছু স্থানে বাতি নষ্ট থাকায় হচ্ছে ছিনতাই। কিশোর গ্যাং ও সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন ও ছিনতাই করছে। রাতের শেষ দিকে পুলিশের টহল কম থাকায় অপরাধ বেশি হচ্ছে। অপরাধপ্রবণ এলাকা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ ও অপরাধীদের নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়ার তৎপরতায় ঘাটতি রয়েছে।
মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি ও হাজারীবাগ এলাকার অপরাধীদের বড় অংশের সঙ্গে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সম্পৃক্ততা আছে। তাদের অনেকে সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়েছে। গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী ও এর আশপাশ এলাকায় পেশাদার ছিনতাইকারী চক্র এবং উত্তরার দিকে অল্পবয়সীদের তৎপরতা বেশি।