• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

শিক্ষক মুরাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪, ০৮:০৭ পিএম
শিক্ষক মুরাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ
গ্রেপ্তারের পর মুরাদ হোসেন সরকার। ছবি : সংগৃহীত

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর দিবা শাখার সিনিয়র শিক্ষক মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন এ তথ্য জানান।

খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, “যে অভিযোগে শিক্ষক মুরাদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, পুলিশ হেফাজতে দুই দিন জিজ্ঞাসাবাদ তার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তার ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। সেগুলোর ফরেনসিক পরীক্ষা করানো হবে।”

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, “বাদীর মেয়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। তার মেয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় মুরাদের কোচিংয়ে পড়ত। প্রায় সময় মুরাদ তার মেয়েসহ অন্য সহপাঠীদের কুরুচিপূর্ণ কৌতুক শোনাত। বাদীর মেয়ে স্কুলে নাচ করত। ওই নাচের ভিডিও মুরাদ ঘুমানোর আগে দেখত বলে ওই শিক্ষার্থীকে প্রায়ই বলত।”

খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, “গত বছরের নভেম্বরে যৌন নির্যাতনের শিকার হয় ওই শিক্ষার্থী। এ ঘটনা জানাজানি হলে মা-বাবার সম্মানহানি হবে এবং স্কুল থেকে তাকে বের করে দেবে, এই ভয়ে মেয়েটি এতদিন কিছু জানায়নি।”

এদিকে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে করা মামলায় মুরাদ হোসেন সরকারকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত।

সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির এক ছাত্রীর মা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় মুরাদ হোসেনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে রাজধানীর লালবাগ থানায় এ মামলা করেন। রাতেই ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির জরুরি সভায় শিক্ষক মুরাদ হোসেন সরকারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

মামলার পর সোমবার রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর কলাবাগানের বাসা থেকে মুরাদ হোসেন সরকারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরের দিন আসামির সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ফাইয়াজ হোসেন। শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এর আগে রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মুরাদ হোসেন সরকারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর ক্যাম্পাসের ফটকে বিক্ষোভ করেন ছাত্রী ও অভিভাবকরা। অভিভাবক ও ছাত্রীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ, অভিযুক্ত ওই শিক্ষক কোচিংয়ে পড়ানোর সময় ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করেন।

Link copied!