• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

১৮ কোটি মানুষের একটিই প্রশ্ন, গণতন্ত্র কোথায় গেল: মঈন খান


সাভার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ২৬, ২০২৪, ০২:৩৬ পিএম
১৮ কোটি মানুষের একটিই প্রশ্ন, গণতন্ত্র কোথায় গেল: মঈন খান
আবদুল মঈন খান। ছবি : প্রতিনিধি

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন, “আজ আমরা স্বাধীনতার পরে ৫৩ বছর অতিক্রান্ত করে এই স্মৃতিসৌধে এসেছি। যে উদ্দেশ্য ও আদর্শ নিয়ে লাখ লাখ মানুষ বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিল, যে আদর্শের জন্য যুদ্ধ করেছিল, তার নাম ছিল গণতন্ত্র। উদ্দেশ্য ছিল দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করা। ৫৩ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের একটিই প্রশ্ন, গণতন্ত্র কোথায় গেল?”

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনকালে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আবদুল মঈন খান বলেন, “দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি কোথায় গেল? এটাই হচ্ছে আজকের প্রশ্ন। একটি সরকার আজ দেশে এসেছে, সে সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা মুখে বলে গণতন্ত্র, তারা বাস্তবে করেছে এক দলীয় শাসন। এবার করেছে বাকশাল টু (২)। এটা আমার কথা নয়, এটা বিশ্ববাসীর কথা।”

স্বাধীনতার পাঠক কীভাবে ঘোষক হয়—আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন কথার পরিপ্রেক্ষিতে মঈন খান বলেন, “চমৎকার প্রশ্ন! তবে আমি ব্যক্তি প্রশ্নের উত্তর দিতে চাই না। ব্যক্তি রাজনীতি আমরা করি না। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, ‘ব্যক্তির চেয়ে দল বড়। দলের চেয়ে দেশ বড়।’ ২৫ মার্চের কালরাতে আজকের যে আওয়ামী লীগ, যারা নিজেদের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে দাবি করে, তারা সেদিন কেন পলায়নপর ভূমিকা নিয়েছিল? জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি সেক্টর কমান্ডার হিসেবে যুদ্ধ করেছিলেন।”

স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে কোনো বিতর্কের সুযোগ রয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, “আমরা বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। আওয়ামী লীগের মতো আমরা কেউ কিছু বললে টুঁটি চেপে ধরি না। ভিন্নমত পোষণে গণতন্ত্র থাকবে। ইতিহাসই সব কথা বলে দেবে। আজ কাউকে বলে দিতে হবে না, কারা বাংলাদেশকে সম্মুখসমরে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল।”

Link copied!