রাজধানীর উত্তরায় ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের ছিনতাই হওয়া টাকাভর্তি ৪টি ট্রাংকের মধ্যে ৩টি উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ট্রাংক ৩টি উদ্ধার করা হয়। তবে ৩টি ট্রাংক থেকে মোট কত টাকা উদ্ধার হয়েছে মিলছে না সেই হিসাব।
এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলার দুই বাহিনী দুই রকম তথ্য দিচ্ছে।
এদিকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তাদের ৪টি ট্রাংকে মোট ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ছিল। তবে ডিবি পুলিশের দাবি প্রায় ৯ কোটি উদ্ধার করেছে।
অন্যদিকে পুলিশ জানায়, খোয়া যাওয়া চারটি ট্রাংকের মধ্যে ৩টি উদ্ধারের পর টাকা না গুনেই ৯ কোটি পাওয়া গেছে বলে ঘোষণা করে ডিবি। কিন্তু রাতে থানায় নিয়ে গোনার পর মেলে মাত্র ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
পুলিশের দাবি, ডিবি যত অর্থ উদ্ধারের দাবি করছে, আদৌ তা সত্য নয়। তবে কত? সে উত্তরও নেই এ সংস্থার কাছে। ডিবিই সঠিক সংখ্যা বলতে পারে বলে জানান ঊর্ধ্বতনরা।
ডিবি জানায়, ডাচ্-বাংলার অর্থ উদ্ধারের পর থানায় নিয়ে টাকাগুলো গোনা হয়েছে। তাই সঠিক পরিমাণটা পুলিশ সদস্যরাই জানেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ বলেন, “আমরা টাকা উদ্ধারের পরপরই ডিএমপির উত্তরা বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে দিয়েছি। আমরা টাকা উদ্ধার করেছি, কিন্তু গুনিনি। তাই টাকার সঠিক সংখ্যা তারাই বলতে পারবে।”
পরে টাকার সংখ্যার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) বদরুল হাসান বলেন, “টাকা উদ্ধার করেছে ডিবি। তাই এ বিষয়ে তারাই বলতে পারবেন।”
ডিবি-পুলিশ ডাচ বাংলার উদ্ধারকৃত অর্থের মোট অংক পরিষ্কার না করলেও জানা গেছে, ঘটনার ১০ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমান মাত্র ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ডিবি উদ্ধারের পর রাতে ব্যাংকের অর্থ বহনকারী প্রতিষ্ঠান মানিপ্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের কর্মকর্তাদের সামনে উদ্ধার হওয়া তিনটি ট্রাঙ্ক খুলে এ অর্থ পাওয়া যায়। কিন্তু ট্রাংক ছিল চারটি। পুলিশের হাতে এসেছে তিনটি। এর মধ্যে নাকি একটি খালি ছিল।
থানাসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা এ দাবি করেন। তিনি বলেন, “পুলিশের কাছে তথ্য ছিল, সোয়া ১১ কোটি টাকাভর্তি চারটি ট্রাংক ছিনতাই হয়েছে। দুই ট্রাংকে ছিল ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। একটি ছিল খালি। টাকা বহনকারী প্রতিষ্ঠানের মানিপ্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের লোকজনই ট্রাংকগুলো আনলক করেছেন। কারণ, চাবিগুলো তাদের কাছেই ছিল।”
টাকা ছিনতাইয়ের এ ঘটনায় তুরাগ থানায় অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে মানিপ্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক আলমগীর হোসের বাদী হয়ে মামলাটি করেন।