বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের আচরণে কষ্ট পেয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, “দেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমি অবশ্যই তাদের আচরণে দুঃখ পেয়েছি। কোনো ব্যাপারে তারা যখন কথা বলেন, তার আগে নিজেদের রাষ্ট্রের অবস্থান এবং সেই রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বের গভীরতা বিবেচনা করে কথা বলা উচিত।”
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর হোটেল রেডিসনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত ‘মানবাধিকার দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, “আমাদের দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে, জনগণ যেভাবে চায়, আমরা সেভাবেই দেশ পরিচালনা করি। গত ২-৩ দিনে আমি যা দেখেছি, বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে তাদের (বিদেশি রাষ্ট্রদূত) আচরণে দুঃখিত হয়েছি।”
আইনমন্ত্রী বলেন, “আমাদের দেশে যারা বিদেশি রাষ্ট্রদূত আছেন, তারা যে রাষ্ট্র থেকে এসেছেন কিংবা যে রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন; সেই রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করেন না। আমি বলব তারা যখন কথা বলেন, তার আগে তার দেশের অবস্থান, সেই রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বের গভীরতা কথা বিবেচনা করবেন। ভিয়েনা কনভেনশনে এটাই লেখা আছে।“
বিদেশি কূটনীতিকদের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, “আমি এটাও বলেছি, রাস্তাঘাট বন্ধ করে সমাবেশ করাটা মানবাধিকারের লক্ষণ না। তাদের দেশ বিরাট মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের আশ্রয় দিচ্ছে। তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা কঠিন তবে আমরা চেষ্টা করছি।”