কোনো দলের কথায় নির্বাচন কমিশন পদত্যাগ করবে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
রোববার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আলমগীর বলেন, “বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ রাজনৈতিক ব্যাপার। কমিশনের দায়িত্ব শুধুমাত্র নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা।”
বিএনপির দাবি থাকলেও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে ইভিএম ব্যবহার করবে কমিশন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ইসি আরও বলেন, “নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিএনপির আস্থা ফেরাতে কাজ করবে কমিশন। কোনো একটি দলের কথায় কমিশন পদত্যাগ করবে না।”
বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের গেজেটের ৯০ দিনের মধ্যে শূন্য আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আলমগীর।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গোলাপবাগে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ থেকে বিএনপির দলীয় সাতজন এমপির পদত্যাগের ঘোষণা আসে। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার বেলা ১১টার দিকে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে বিএনপির সাত এমপি জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
এসময় সশরীরে উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের মো. আমিনুল ইসলাম, বগুড়া-৪ আসনের মো. মোশাররফ হোসেন, বগুড়া–৬ আসনের গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের জাহিদুর রহমান এবং সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা।
তবে বিদেশে থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ এবং অসুস্থতার কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার সশরীরে উপস্থিত ছিলেন না। তাদের পক্ষে স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
তবে হারুন অর রশিদ ও আবদুস সাত্তার এমপি সশরীরে উপস্থিত না থাকায় তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি স্পিকার।
বিএনপির এমপিরা পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় সাংবাদিকদের জানান, সংসদে জনগণের পক্ষে কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। এজন্য সরকার পতনের আন্দোলন জোরদার করতেই একাদশ জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছেন তারা।