• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

শাহীনের খপ্পরে পড়ে অন্ধকার জগতে শিলাস্তি


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২৪, ০৩:৩৭ পিএম
শাহীনের খপ্পরে পড়ে অন্ধকার জগতে শিলাস্তি
শিলাস্তি ও শাহীন। ছবি : সংগৃহীত

কলকাতায় চিকিৎসা গিয়ে নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম। হত্যার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে নাম উঠে আসে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী আক্তারুজ্জামান শাহীনের। তিনি ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র শহিদুল ইসলাম সেলিমের ছোট ভাই।

এ ঘটনায় আরেক আলোচিত নাম শিলাস্তি রহমান। আর এই সুন্দরী শিলাস্তি মডেল হতে গিয়ে অপরাধ জগতে জড়িয়ে পড়েন। শাহীনের বান্ধবী হওয়াই তার জন্য কাল হয়।

শাহীন ১৯৮৭ সালে চট্টগ্রামে মেরিন একাডেমিতে পড়াশোনা করাকালীন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। ঢাকায় ফিরে বরিশালের এক মেয়েকে বিয়ে করেন। শাহীনের একটি ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তারা এখন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে। যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমালেও নিয়মিত বাংলাদেশে আসতেন শাহীন। সে সময় বাল্যবন্ধু আনোয়ারুলের হাত ধরে ব্যবসার সূত্রেই বাংলাদেশ ও ভারতে শাহীন গড়ে তোলেন বিশাল সাম্রাজ্য। কোটচাঁদপুরে শাহীনের গ্রামে ৩০ বিঘা জমির ওপর বিশাল বাগানবাড়ি ও রিসোর্ট। সুউচ্চ প্রাচীরঘেরা, সিসি ক্যামেরার বেষ্টনী। পাহারায় রয়েছে বিদেশি বেশ কয়েকটি কুকুর। বাড়িতে প্রায়ই বড় বড় ব্যবসায়ী ও নায়িকারা। 

এদিকে এমপি আনোয়ারুল আজীমের হত্যায় গ্রেপ্তার হওয়া তরুণী শিলাস্তি রহমান চেয়েছিলেন মডেল হতে। শিলাস্তির গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুরে। তবে তিনি বড় হয়েছেন পুরান ঢাকায়। মডেল হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে বিত্তশালীদের ডেরায় নিয়মিত যাতায়াত ছিল তার। সেভাবেই আক্তারুজ্জামান শাহীনের খপ্পরে পড়েন এবং চলে যান অন্ধকার জগতে। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী শাহীন দেশে এলেই ঘুরে বেড়াত তার সঙ্গে। শাহীনের ফ্ল্যাটে বিভিন্ন পার্টিতে দেখা যেত শিলাস্তিকে। তার আরেক নাম সেলে নিস্কি।
কলকাতায় এমপি আনোয়ারুল খুন হওয়ার পর শাহীনের বান্ধবী হিসেবে নাম আসে এই শিলাস্তি রহমানের। আনোয়ারুলকে খুনের পর সোজা ঢাকার বিমান ধরে কলকাতা থেকে ফেরেন তিনি। বিমানবন্দর থেকে চলে যায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায়, শাহীনের অভিজাত ফ্ল্যাটে। এমপিকে খুন করে সফল হওয়ায় ওই রাতেই শাহীন সেখানে পার্টির আয়োজন করে। তবে এসব করেও পুলিশের নাগাল এড়াতে পারেনি তারা। ঘটনা জানাজানি হতেই দুই হত্যাকারীর সঙ্গে শিলাস্তিকেও গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার আদালতে তিনি কেঁদে ফেলেন। ওকালতনামায় শিলাস্তি রহমানের সই নিতে গেলে তিনি আইনজীবীকে বলেন, “আমি কেন সই করব? আমি কি আসামি নাকি? এসব বিষয়ে কিছু জানি না। আমি শুধু ফ্ল্যাটে ছিলাম। কিছু করিনি।”

শিলাস্তির জন্ম টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় হলেও বড় হয়েছেন ঢাকায়। শিলাস্তি নাগরপুর সদর ইউনিয়নের পাইশানা গ্রামের আরিফুর রহমানের মেয়ে। দুই বোনের মধ্যে বড়।

Link copied!