• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

রিজভী সাহেবদের ‘মিথ্যাচার’ সন্ত্রাসের চেয়েও নারকীয় : তথ্যমন্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২১, ২০২৩, ০৩:৩৭ পিএম
রিজভী সাহেবদের ‘মিথ্যাচার’ সন্ত্রাসের চেয়েও নারকীয় : তথ্যমন্ত্রী
তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর মিথ্যাচারকে জঘন্য, কুৎসিত, নারকীয় ও বীভৎস বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, “রেলে আগুন দিয়ে যেভাবে চারজনকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, সেই সন্ত্রাসের চেয়েও নারকীয়, বীভৎস হচ্ছে রিজভী সাহেবদের মিথ্যাচার।”

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভীর সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, “রিজভী সাহেব সম্পর্কে আমি এই শব্দগুলো ব্যবহার করতে চাই না। কিন্তু তার যে বক্তব্য সেটির পরিপ্রেক্ষিতে আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি, নরকের কীটের চেয়েও জঘন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে তার মিথ্যাচার।”

গাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনায় আওয়ামী লীগ জড়িত, বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনারা জানেন, গত ২৮ অক্টোবর থেকে কীভাবে বিএনপি নতুনভাবে দেশে আগুন-সন্ত্রাস শুরু করেছে। এগুলো মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। এর আগে ২০১৩-১৪-১৫ সালে গাড়িতে আগুন দিয়ে বহু মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। এ পর্যায়েও গাড়িতে আগুন দিয়ে বেশ কয়েকজনকে হত্যা করেছে।”

হাছান মাহমুদ বলেন, “সর্বশেষ গত পরশু (১৯ ডিসেম্বর) যে নারকীয়ভাবে তারা চলন্ত ট্রেনে আগুন দিয়েছেন, সেই আগুনে চারজন মানুষ মারা গেছেন। তাদের মধ্যে একজন মা তার সন্তানসহ মৃত্যুবরণ করেছেন। রাজনীতির নামে এ ধরনের নারকীয় হত্যাকাণ্ড আমরা চিন্তাও করতে পারি না।”

তথ্যমন্ত্রী বলেন, “২০১৩-১৪-১৫ সালে তারা যেভাবে তাণ্ডব চালিয়েছিল, এখনও একই কায়দায় সেটি তারা শুরু করেছে। এটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট। সরকার সবসময় দেশের শান্তি-স্থিতি বজায় রাখতে চায়। সরকার এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে সব সময় প্রতিহত করতে চায়।”

নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে এর দায় সরকারের ওপর পড়বে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), এ বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, “সরকার নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করছে। এখন মাঠ প্রশাসন, নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সমস্ত প্রশাসন এখন নির্বাচন কমিশনের হাতে। নির্বাচন আয়োজক সংস্থা হচ্ছে নির্বাচন কমিশন, সুতরাং ভোট সুষ্ঠু ও সুন্দর করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। ভোট বর্জন করে বিএনপি অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।” 

Link copied!