• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ভারতে শুল্ক আরোপ বৃদ্ধি করায় বেড়েছে পেঁয়াজের দাম


বিজন কুমার
প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০২৩, ০৯:২৭ পিএম
ভারতে শুল্ক আরোপ বৃদ্ধি করায় বেড়েছে পেঁয়াজের দাম

ভারতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় বাংলাদেশের বাজারে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। একদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে প্রায় ১০-১৫ টাকা।

রোববার (২০ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

আগারগাঁও থেকে কারওয়ান বাজারে কেনাকাটা করতে এসেছেন মিজানুর রহমান। শনিবার (১৯ আগস্ট) তার এলাকায় পেঁয়াজের দাম শুনেছিলেন ৫৪ টাকা কেজি। এরপর সিদ্ধান্ত নেন কারওয়ান বাজারে গিয়ে পেঁয়াজ কিনবেন। কারণ, এখানে রাজধানীর সব থেকে কম দামে পাওয়া যায়। যথারীতি বাজারে এসে পেঁয়াজের দাম শুনে চোখ তার কপালে।

পেঁয়াজ কিনতে আসা মিজানুর বলেন, “আমি আগারগাঁও থাকি। শনিবার সেখানে পেঁয়াজের দাম ছিল ২৭০ টাকা পাল্লা (৫ কেজি)। আজকে কারওয়ান বাজারে ৩৪০ টাকা পাল্লা বিক্রি হচ্ছে। শুধু পেঁয়াজ নয়, বাজারে কোনো একটা জিনিসের দাম থেমে নেই। আমার মনে হয় বাজারে কোনো প্রকার গার্ডিয়ান (অভিভাবক) নেই। এর ফলে শুধু পেঁয়াজ না। প্রতিটা জিনিসের দাম বেড়ে যাচ্ছে। বাজার পুরোটাই অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়েছে।”  

শুধু মিজানুর রহমান নয়। তার মতো অনেক ক্রেতাই বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন।

রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে, দেশি পেঁয়াজ পাইকারি প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৭৫ থেকে ৮৫ টাকায়। এর আগে শনিবার এই পেঁয়াজের দাম ছিল ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা। একইভাবে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬২ থেকে ৭০ টাকা। যা শনিবার বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৫৪ টাকায়।

অপরদিকে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। এর আগে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ছিল ৬০ টাকা।

শিউলী আক্তার নামে এক নারী ক্রেতা বলেন, “পেঁয়াজ দুই দিন আগেই কিনেছি ৬০ টাকা কেজি। আজ এর দাম ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। যদি এভাবে দাম বাড়ে, তাহলে পেরে উঠা মুশকিল। এতে নিম্ন-মধ্যবিত্তদের চলা খুবই কঠিন হয়ে পড়ছে।”

হঠাৎ দাম বৃদ্ধির কারণ কী, এমন প্রশ্নের জবাবে শরিফুল ইসলাম নামে এক খুচরা বিক্রেতা বলেন, “বাজারে হঠাৎ করে দাম বাড়ছে। এর সঠিক কারণ আমার জানা নেই। তবে মহাজনদের কাছে শুনেছি, বেনাপোল বর্ডার নাকি বন্ধ হয়ে গেছে। তাই বাজারে দাম বেড়েছে।”

ক্রেতা সংকট হওয়া কথা উল্লেখ করে পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা মানিক মিয়া বলেন, “ভারতীয় পেঁয়াজের ওপর নির্ভর করে এই পণ্যের দাম বাজারে নিয়ন্ত্রণ হয়। ভারতীয় পেঁয়াজটাই মানুষ বেশি খায়। ওই দেশে নতুন দাম দেওয়াতে আজকে বাজারে দাম বেশি। কালকেই পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৮০ টাকা। কিন্তু আজকে ৯০ টাকা। মূল্য বৃদ্ধি ফলে বাজারে একটু ক্রেতা কম। যদি ২ থেকে ৩ টাকা দাম বাড়ত। তাহলে খুব একটা ক্রেতাদের সমস্যা হতো না।”  

আরেক পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা আব্দুস সামাত বলেন, “শুধু ভারতের ঘোষণার কারণে দাম বাড়ছে বলে মনে হয় না। এ বছর দেশে পেঁয়াজের ফলন কম। তাছাড়া কেউ মজুদ করে রাখছে কিনা বুঝতে পারছি না। বর্তমানে যদি প্রয়োজন হয় ১০ বস্তা, তাহলে পাই ৫ বস্তা। এটাও মূল্য বৃদ্ধির একটা কারণ হতে পারে।”

Link copied!