• ঢাকা
  • শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২, ৭ সফর, ১৪৪৭

এবার কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কাঁদলেন শাজাহান খান


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ১৭, ২০২৫, ০৩:১৭ পিএম
এবার কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কাঁদলেন শাজাহান খান

হাসির জন্য প্রায় সময়েই আলোচনায় থাকা সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান এবার কেঁদেছেন। আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেছেন, “আমার ছেলের সঙ্গে পাঁচ মাস আমার দেখা নেই। আমার প্রশ্ন- আমার ছেলে কী করেছে।”

সোমবার (১৭ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালতে শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত বাড্ডা থানার রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় শাজাহান খানের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ সময় তিনি নিজের ছেলের সঙ্গে দীর্ঘ পাঁচ মাস দেখা নেই জানিয়ে কাঁদতে শুরু করেন।

কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে শাজাহান খান বলেন, “মাননীয় আদালত আমাকে একটু সময় দেন কথা বলার। আমি কথা বলতে চাই।” পরে আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন শাজাহান খান। তিনি বলেন, “পিপি সাহেব বলেছেন, আন্দোলনে পুলিশ গুলি করেছে। সে অর্ডার তো দিতে পারে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। গুলি চালানোর অর্ডার তো আমি দিতে পারি না। আমি জড়িত না। কেন আমার বিরুদ্ধে এই মামলা হলো? শুধু আমার বিরুদ্ধে না, আমার বড় ছেলে আসিবুর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। সে এখন জেলে।”

তখন কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, “আমার ছেলের সঙ্গে পাঁচ মাস আমার দেখা নেই। আমার প্রশ্ন- আমার ছেলে কী করেছে। আমি ঢাকায় থাকাকালে ছেলে মাদারীপুর ছিল। আপনি এখনই চেক করতে পারেন। আর সিরাজুল ইসলাম কে?” তখন বিচারক বলেন, “আপনার বিষয়ে আইনজীবী কথা বলেছেন।”

এরপরও শাজাহান খান দুই হাত জোর করে কথা বলার জন্য সময় চান। তিনি বলেন, “একটু সময় দেন। উনারা (আইনজীবী) ভালোভাবে বিষয়টা বলতে পারেননি। চেয়ারম্যান ৬টা হত্যা মামলার আসামি। আমি তার পক্ষে ছিলাম না। তাই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই মামলা দিয়েছে।”

পরে আদালত তার চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। এসময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে টিস্যু দিয়ে দুই চোখ মুছতে থাকেন শাজাহান খান। পরে ১০টা ৪০ মিনিটে হেলমেট, বুলেট প্রুভ জ্যাকেট ও হাতকড়া পরিয়ে আদালত থেকে বের করা হয়।

হাজতখানায় নেওয়ার সময় তিনি বলেন, “পুলিশ বলছে কথা বলা নিষেধ। এটা গণতান্ত্রিক দেশ। আমি সারা জীবন কথা বলে এসেছি, কথা বলেই যাব।” পরে হাসতে হাসতে তিনি হেঁটে হাজতখানায় যান।

এর আগে এদিন সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে শাজাহান খানকে আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়। তখন তিনি আইনজীবীর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ করেন। সকাল ১০টা ৮ মিনিটের দিকে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক শফিউল আলম তার ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষে মিজানুর রহমান (বাদশা) রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!