• ঢাকা
  • শনিবার, ০৭ জুন, ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১০ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

চিফ প্রসিকিউটরকে নিয়ে বক্তব্য প্রত্যাহার করলেন নুর


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২৪, ০৬:০৮ পিএম
চিফ প্রসিকিউটরকে নিয়ে বক্তব্য প্রত্যাহার করলেন নুর
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামকে নিয়ে বক্তব্য প্রত্যাহার করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনাল থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তিনি ট্রাইবুনালের সামনে প্রদত্ত বক্তব্য প্রত্যাহার করেছেন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের কার্যক্রমে রাজনৈতিক দল হিসেবে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস ব্যক্ত করেছেন।

এদিকে সাবেক ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ১৪ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে আমার বক্তব্যের তথ্যে বিভ্রাটে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় আমার বক্তব্য প্রত্যাহার করছি। চিফ প্রসিকিউটরের সঙ্গে আলোচনায় বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ায় গণহত্যার ন্যায়বিচার নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমে আমাদের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাতে ট্রাইব্যুনালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাসুদ রানার পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামকে নিয়ে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় গণঅধিকার পরিষদ একাংশের সভাপতি জনাব নুরুল হক নুর এবং তার একদল সহযোগী ও বহিরাগত ব্যক্তিদের নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে উসকানিমূলক এবং মানহানিকর স্লোগান দিতে দিতে একটি মিছিল নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মূল প্রবেশ গেট দিয়ে জোরপূর্বক প্রবেশের চেষ্টা করেন। পরে ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বাধার মুখে ট্রাইব্যুনালে ঢুকতে না পেরে নুরুল হক নুর তার দলীয় কর্মীদের নিয়ে ট্রাইব্যুনালের গেটে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। যেখানে তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠকের ভিত্তিহীন, বানোয়াট, অসত্য এবং উসকানিমূলক কিছু অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশ করেন।

উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তার এ মিথ্যা অভিযোগ ইলেকট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে যায়। নুরুল হক নুরের এই বক্তব্যের ফলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং চিফ প্রসিকিউটর জনাব মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের মর্যাদা ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে।

নুরুল হক নুর এবং তার দলীয় কর্মীদের এ বেআইনি কার্যকলাপ সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত এবং ষড়যন্ত্রমূলক বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। তার এই হঠকারী কার্যক্রমে জুলাই-আগস্ট গণহত্যার ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারপ্রক্রিয়া প্রভাবিত ও বাধাগ্রস্ত করার শামিল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে নুরুল হক নুর এবং তার দলীয় কর্মীদের এই বেআইনি ও ষড়যন্ত্রমূলক কাজের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে অর্জিত নতুন এই বাংলাদেশে দুই সহস্রাধিক হত্যা ও অর্ধলক্ষ ভাইবোনের নির্যাতনের বিচার প্রক্রিয়ার জন্য পুনর্গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও  চিফ প্রসিকিউটর সম্পর্কে ব্যক্তিস্বার্থে এ কার্যক্রম অনভিপ্রেত এবং অগ্রহণযোগ্য। নুরুল হক নূর তার এই ভিত্তিহীন, অসত্য ও দুরভিসন্ধিমূলক বক্তব্য প্রত্যাহারপূর্বক ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Link copied!