মির্জা আব্বাসের আসন ফাঁকা রেখেছে এনসিপি, মনোনয়ন পাননি সেই রিকশাচালক সুজন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২৫, ০৩:৪৭ পিএম
মির্জা আব্বাসের আসন ফাঁকা রেখেছে এনসিপি, মনোনয়ন পাননি সেই রিকশাচালক সুজন

ঢাকা-৮ আসন থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও প্রথম ধাপে মনোনয়ন পাননি জুলাই অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের স্যালুট জানিয়ে দেশব্যাপী আলোড়ন তোলা সেই রিকশাচালক সুজন। 

আজ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণা করেছে গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। প্রথম ধাপে ১২৫ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।

তালিকায় ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণ ও নতুন মুখের প্রাধান্য দেখা গেছে। উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন—মো. সারজিস আলম (পঞ্চগড়-১), হাসনাত আবদুল্লাহ (কুমিল্লা-৪), মো. নাহিদ ইসলাম (ঢাকা-১১), আখতার হোসেন (রংপুর-৪), ডা. তাসনিম জারা (ঢাকা-৯) এবং নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী (ঢাকা-১৮)।

ঢাকার ২০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে বেশিরভাগেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে দলটি। তবে এখনও ফাঁকা রয়েছে ২, ৩, ৬, ৮, ১০ ও ১৪ নং আসন। 

এরমধ্যে ঢাকা–৮ (মতিঝিল-শাহজাহানপুর-রমনা) আসন নানা কারণে এবার আলোচনায় এসেছে। এ আসনে বিএনপি তাদের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে প্রার্থী হিসেবে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে।

একই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার উদ্দেশে এনসিপি থেকে গত ২০ নভেম্বর মনোনয়ন নিয়েছিলেন রিকশাচালক সুজন। তবে প্রথম ধাপে এই আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি এনসিপি। 

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী জানিয়েছেন, প্রথম ধাপে ১২৫ জনের নাম ঘোষণা করা হলেও পরবর্তী তালিকায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সংস্কারপন্থী নেতাদের সুযোগ দেওয়া হবে। আজ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

একই অনুষ্ঠানে দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, 'আমরা সংখ্যালঘু এবং আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের অনুপাত অনুযায়ী প্রার্থী দেব। কোনো বিশেষ ব্যক্তির জন্য কোনো আসন ফাঁকা রাখা হয়নি। প্রার্থীদের তালিকা জনগণের সামনে উন্মুক্ত করা হলো। যদি কারও বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি বা ফ্যাসিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে, তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের প্রার্থিতা বাতিল করা হবে।'
 
৩০০ আসনের প্রার্থী ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত এই যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।

২০ নভেম্বর মনোনয়ন নেয়ার পর নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সুজন বলেছিলেন, 'এতিমের টাকা মেরে যখন সংসদে দাঁড়ানো যায়, তখন আমি রিকশা চালক হয়ে কেন দাঁড়াতে পারব না? যাত্রাপালায় নেচে যদি সংসদে যাওয়া যায়, তখন রিকশাওয়ালা কেন যেতে পারবে না?'

তিনি বলেছিলেন, জনগণ, রিকশাচালক ও শ্রমজীবী মানুষের পক্ষে কথা বলতে এবং তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি এসেছেন।

উল্লেখ্য, একই আসনে ইতোপূর্বে জামায়াত ড. অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিনকে মনোনয়ন ঘোষণা করেছিল। তবে সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর এসেছে, এই আসনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েমকে মনোনয়ন দেয়ার ব্যাপারে দলের ভেতরে আলোচনা চলছে। 

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!