• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০২ মে, ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২, ৩ জ্বিলকদ ১৪৪৬

মহাবিপৎ সংকেত জারির বার্তা দিলেন প্রতিমন্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মে ২৫, ২০২৪, ০১:৫১ পিএম
মহাবিপৎ সংকেত জারির বার্তা দিলেন প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে যাচ্ছে। ‘রেমাল’ নামের এই ঘূর্ণিঝড়টি রোববার (২৬ মে) নাগাদ সাতক্ষীরা ও কক্সবাজারের মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে স্থলভাগ অতিক্রম করতে পারে। এমন তথ্য দিচ্ছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আসন্ন ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ নিয়ে তৎপর রয়েছে সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগ। উপকূল অতিক্রম করার সময় ধরে শনিবার (২৫ মে) মধ্যরাতে মহাবিপৎ সংকেত জারি হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।

শনিবার (২৫ মে) সচিবালয়ে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রস্তুতি সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। মন্ত্রী বলেন, “আবহাওয়া অধিদপ্তরসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে আমরা বুঝতে পেরেছি, ঘূর্ণিঝড়টি আসন্ন।”

মন্ত্রী আরও বলেন, এখন ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত রয়েছে। আগামী ১ থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যে সংকেত ৩-এ চলে যাবে। এটা (সতর্ক সংকেত) রাতে ৪-এর ওপরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রাতে বিপদের পর্যায়ে চলে যেতে পারে।”

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “রাত ১২টা-১টা নাগাদ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি হতে পারে। এমন একটা সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস পর্যালোচনা করে আমরা ঝড়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছি।”

প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, ঘূর্ণিঝড়টিতে সাতক্ষীরা থেকে চট্টগ্রামের কক্সবাজার পর্যন্ত কমবেশি অ্যাফেকটেড হতে পারে। ৭ থেকে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হবে। এজন্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধস হতে পারে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী কাজ শুরু করা হয়েছে। ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে।

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!