• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

‘পাইলট’ পরিচয়ে নারীদের সঙ্গে প্রেম, চার মাসে কোটি টাকা আত্মসাৎ


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২৩, ০৫:৫৪ পিএম
‘পাইলট’ পরিচয়ে নারীদের সঙ্গে প্রেম, চার মাসে কোটি টাকা আত্মসাৎ
সিটিটিসির হাতে গ্রেপ্তার বেনজির হোসেন। ছবি : সংগৃহীত

বিয়ের পর স্ত্রীকে আমেরিকা নিয়ে যাওয়ার কথা বলে প্রতারণার অভিযোগে বেনজির হোসেন (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে গত বুধবার (২২ নভেম্বর) খুলনার ফুলতলা থেকে বেনজিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। বেনজিরের বাড়ি নড়াইলের মির্জাপুরে।

সিটিটিসির প্রধান বলেন, “ফেসবুকে ভুয়া প্রোফাইল তৈরি করে এই প্রতারক নিঃসঙ্গ নারীদের টার্গেট করে প্রতারণা করে আসছিলেন। প্রথমে প্রেমের ফাঁদে ফেলে, পরে বিয়ের প্রলোভন ও সপরিবার আমেরিকায় নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখাতেন। এভাবে বছরের পর বছর তিনি বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেন।”

এই প্রতারণার পাশাপাশি বেনজির পুলিশ পরিচয়ে, ইন্স্যুরেন্স স্ক্যাম, সেনাবাহিনী ও পুলিশে চাকরির নামে প্রতারণা, হুন্ডি ব্যবসা, মানব পাচারসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

আসাদুজ্জামান বলেন, শাহিদ হাসান নামের যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী এক বাংলাদেশি বিমানচালকের প্রোফাইল হুবহু কপি করে একটি ভুয়া ফেসবুক প্রোফাইল তৈরি করেন বেনজির। প্রোফাইলটি বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য তিনি নিয়মিত আসল শাহিদের ফেসবুক পেজ থেকে বিমান চালানোর ছবি ও ভিডিও নিয়ে ওই ভুয়া পেজে পোস্ট করতেন।

ওই পরিচয়ে তিনি ফেসবুক মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করে নারীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলতেন। বেনজির অডিও কলে কথা বললেও কখনো ভিডিও কলে কথা বলতেন না। প্রেমের একপর্যায়ে তিনি বিভিন্ন রকম বিপদে পড়ার কথা বলে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) নম্বরে টাকা নিতেন। নড়াইলে নিজ বাড়িতে বসেই তিনি এ ধরনের অপকর্ম করতেন। আর টাকা উত্তোলন করতেন বাড়ি থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে যশোর কিংবা খুলনা থেকে।

আসাদুজ্জামান আরও বলেন, “বেনজির প্রতারণার কাজে যে সিম ব্যবহার করতেন, এমএফএস নম্বরের রেজিস্ট্রেশনে ব্যবহৃত যে এনআইডি নম্বর, সবই অন্য ব্যক্তির। টাকা উত্তোলনের সময় পরিচয় ও চেহারা গোপন করার জন্য ক্যাপ, সানগ্লাস ও মুখে মাস্ক পরে থাকতেন।”

গত ৪ মাসে তার ১৩টি মোবাইল ব্যাংকিং নম্বরে ১ কোটি টাকার বেশি লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি।

Link copied!