হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

শিক্ষক সংকট নিরসন ও ইন্টার্ন ভাতাসহ ৫ দাবি নিয়ে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) পরিচালকের কক্ষের সামনে অবস্থান নিয়েছেন পাঁচ বছর মেয়াদী বিএসসি ইন ফিজিওথেরাপি কোর্সে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা। 

সোমবার (১৯ মে) দুপুর ১২ থেকে ২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালিত হয়। বৈষম্য দূরীকরণের জন্য বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি স্টুডেন্ট ইউনিয়নের (বাপসু) আহ্বানে তাদের এ অবস্থান কর্মসূচি চলছে।

বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি স্টুডেন্ট ইউনিয়নের (বাপসু) সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে একাধিক সমস্যায় জর্জরিত ও বৈষম্যের শিকার বিএসসি ইন ফিজিওথেরাপি কোর্সে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা। এ জন্য গত বছরের ৩১ আগস্ট ৫ দফা দাবিতে আন্দোলন করি আমরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এগুলো দ্রুত সমাধান করা হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছিল সে সময়। ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু কমিটি আমাদের ন্যায্য দাবিগুলো বাস্তবায়নের পক্ষে মতামত দেন কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দপ্তরে পাঠিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের তো এসব দাপ্তরিক কাজ করার কথা নয়।” 

শিক্ষার্থীদের ৫টি দাবি হলো—

১. পর্যাপ্ত শিক্ষক সংকট নিরসনের জন্য দ্রুত শূন্য পদে নিয়োগ বাস্তবায়ন।

২. ফিজিওথেরাপি বিভাগের (ক্লিনিকাল পোস্ট এর) শূন্য পদগুলো দ্রুত নিয়োগ ব্যবস্থা করা।

৩. জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে ফিজিওথেরাপি বিষয়ের ওপর স্নাতকোত্তর কোর্স মাস্টার্স ইন ফিজিওথেরাপি দ্রুত চালু করা।

৪. ইন্টার্ন ফিজিওথেরাপিস্টদের ইন্টার্ন ভাতা নিশ্চিত করা।

৫. পর্যাপ্ত ক্লাসরুম, ফিজিওথেরাপি ল্যাব, ছেলেমেয়েদের পৃথক কমনরুম ব্যবস্থা করা ইত্যাদি।

এ বিষয়ে বাপসুর আহ্বায়ক আশিকুর রহমান বলেন, বিশেষ করে ইন্টার্ন ভাতা পাওয়া ইন্টার্ন ফিজিওথেরাপিস্টদের ন্যায্য অধিকার । কিন্তু নিটোর প্রশাসন দায়িত্ব এড়িয়ে শিক্ষার্থীদের বছরের পর বছর এক দপ্তর থেকে আরেক দপ্তর পাঠিয়ে কেবল সময় নষ্ট করছেন। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে ফিজিওথেরাপি বিজ্ঞানসম্মত একটি গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা পদ্ধতি। সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে এই চিকিৎসা ব্যবস্থাকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে, যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এই পেশায় সংশ্লিষ্ট ফিজিওথেরাপিস্ট, রোগী ও দেশের আপামর জনসাধারণ।