কাঁচামাল কেনার টোপ দিয়ে রাজধানীর চকবাজারের প্লাস্টিক ব্যবসায়ী জুয়েল ও তার কর্মচারী মোর্শেদকে বরিশাল নিয়ে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় জড়িত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বরিশাল বাকেরগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান যুগ্ম-কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) বিজয় বিপ্লব তালুকদার।
গ্রেপ্তাররা হলেন নুরুজ্জামান হাওলাদার (৪০), আব্দুল আজিজ শিকদার (৩৪), হাফেজ চৌকিদার (৪৬) ও দেলোয়ার হোসেন মোল্লা ওরফে দেলু (৩৫)।
বিজয় বিপ্লব তালুকদার বলেন, জুয়েল সিকদার রাজধানীর চকবাজারের প্লাস্টিক ব্যবসায়ী। পূর্ব পরিচিত দেলোয়ার হোসেন মোল্লা তাকে প্লাস্টিকের কাঁচামাল কেনার টোপ দেন। জুয়েল ও তার কর্মচারী ১৪ ডিসেম্বর বরিশালের ওয়েসিয়া ঘাটে যান। সেখানে নুরুজ্জামান, আজিজ ও হাফিজ নামের এক মাঝি একটি ট্রলারে করে তাদের মেঘনা নদীতে নিয়ে যান।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ট্রলারে ওঠার পর তাদের চোখে মরিচের গুঁড়া লাগিয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ করে জুয়েলের সঙ্গে থাকা ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন দেলোয়ার। এরপর জুয়েল ও তার কর্মচারী নিস্তেজ হয়ে পড়লে তাদের নদীতে ফেলে পালিয়ে যান অপরাধীরা।
বিজয় বিপ্লব তালুকদার বলেন, এ ঘটনায় তিনদিন পর বরিশালের মুলাদিয়া ও ইলিশায় প্লাস্টিক ব্যবসায়ী জুয়েল ও তার কর্মচারী মোর্শেদের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহত জুয়েলের বাবা রাজধানীর চকবাজার থানায় একটি মামলা করেন। পরে তথ্য-প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ব্যবসায়ী জুয়েল শিকদার ও তার কর্মচারী মোর্শেদ আলম হত্যাকাণ্ডে জড়িত চারজনকে বরিশালের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তাররা সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সদস্য। তারা এর আগেও এ ধরণের অপরাধ সংঘটিত করেছে। তাদের রিমান্ডে এনে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।