আবারও চড়া পেঁয়াজের বাজার। ভারত থেকে আমদানি বন্ধ, সেই সঙ্গে দেশি নতুন পেঁয়াজ বাজারে না আসার মাঝে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে সর্বোচ্চ ১৫ টাকা। উৎসবের এ মৌসুমের মাঝে দাম সহসা কমার কোনো আভাস দিচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা।
বেশ লম্বা সময় ধরে বন্ধ রয়েছে আমদানি, এছাড়া মৌসুমের শেষ, কমে আসছে মজুদ। আর তাতেই অস্থিরতা দেখা দিয়েছে পেঁয়াজের বাজারে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে সর্বোচ্চ ১৫ টাকা বেড়েছে রান্নার অন্যতম এই উপকরণের দাম।
ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রধানত দু’টি কারণে হঠাৎ করে পেঁয়াজের দামে এমন উল্লম্ফন হচ্ছে। একটি হলো- ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকা এবং অন্যটি রবি মৌসুমের পেঁয়াজ আসতে দেরি হয়া।
এক পাইকারী ব্যবসায়ী বলেন, ‘এখন তো বাহিরের পেঁয়াজ নেই। চাহিদা পূরণে শুধু দেশি পেঁয়াজের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম।’ আরেক পাইকার বলেন, ‘পেঁয়াজের সিজন শেষ। সরবরাহ কমে গেছে। আবার নতুন পেঁয়াজ আসবে, তখন কমার সম্ভাবন আছে।’
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেশের বাজারে বর্তমানে ঘুরে ফিরে চাহিদা ৩০ থেকে ৩৫ লাখের ঘরে। চাহিদার বেশ বড় অংশ হয় আমদানি। টিসিবির হিসেব বলছে, গেল ১ মাসের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রায় ৩৮ শতাংশ। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকার পর্যায়ে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯৭-৯৮ টাকা কেজিতে। খুচরায় যা ১১০-১১৫ টাকা।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, ‘দাম কমার সম্ভাবনা নেই। এখন দাম বাড়বে।’ দাম আরও বাড়বে কিনা, সে প্রশ্ন এখন ঘুরে ফিরে। তাই, বাজার স্থিতিশীল রাখতে বিকল্প উৎস থেকে আমদানির পরামর্শ বিশ্লেষকদের।
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, এখন কিছু পেঁয়াজ যদি আমদানি করা যায়। এতে সরবরাহ বাড়বে এবং ভোক্ত পর্যায়ে দাম সহনীয় হবে।


































