• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২, ৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

সঞ্চয়পত্রের টাকা চুরি: তথ্য জালিয়াতি, নাকি হ্যাকিং?


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২৫, ০৪:০৫ পিএম
সঞ্চয়পত্রের টাকা চুরি: তথ্য জালিয়াতি, নাকি হ্যাকিং?

সঞ্চয়পত্রের সার্ভারে অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় সন্দেহভাজন তিন ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসে সঞ্চয়পত্র লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত তিন কর্মকর্তার কম্পিউটারও জব্দ করেছে তদন্ত কমিটি।

সঞ্চয়পত্রের টাকা চুরির ঘটনায় পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে এটি তথ্য জালিয়াতি, নাকি হ্যাকিং সেটি তদন্তের পর জানা যাবে।

আজ বৃহস্পতিবার মতিঝিলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান শাখায় সঞ্চয়পত্র ইস্যুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সহকারী মুখপাত্র শাহরিয়ার সিদ্দিকী এসব কথা বলেন। তিনি জানান, পাশাপাশি জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সার্ভার ও তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবস্থার নিরাপত্তা আরো জোরদারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সঞ্চয়পত্রের টাকা চুরির ঘটনায় রাজধানীর মতিঝিল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন জানিয়েছেন, সঞ্চয়পত্রের টাকা চুরির ঘটনায় মতিঝিল থানায় মামলা হয়েছে।

জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সম্প্রতি মতিঝিল অফিস থেকে কেনা ২৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র একটি জালিয়াত চক্র ভুয়া লেনদেনের মাধ্যমে আত্মসাৎ করে। সঞ্চয়পত্রটি কেনা হয়েছিল অগ্রণী ব্যাংকের জাতীয় প্রেস ক্লাব শাখা থেকে, কিন্তু টাকা চলে যায় এনআরবিসি ব্যাংকের দিনাজপুর উপশাখার আরিফুর রহমান নামে এক ব্যক্তির হিসাবে। পরে তিনি ঢাকার শ্যামলী শাখা থেকে নগদ অর্থ তুলে নেন।

একই পদ্ধতিতে আরও দুটি লেনদেনে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের একটি হিসাবে ৩০ লাখ এবং এনআরবি ব্যাংকের মাধ্যমে ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ভাঙানোর চেষ্টা করা হয়। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরে এলে শেষ মুহূর্তে ওই লেনদেনগুলো স্থগিত করা হয়। পরে বিএফআইইউ তিনটি সন্দেহজনক হিসাবই জব্দ করে।

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!