• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

বিচার বিভাগকে যেন রাজনীতিকরণ করা না হয় : প্রধান বিচারপতি


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২৩, ০৩:১০ পিএম
বিচার বিভাগকে যেন রাজনীতিকরণ করা না হয় : প্রধান বিচারপতি
ছবি : সংগৃহীত

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, “আমি চাইব বিচার বিভাগকে যেন কোনোভাবে রাজনীতিকরণ করা না হয়। এখানে বিচারক ও বিজ্ঞ আইনজীবীদের সম্মিলিত ও মেধাপুষ্ট দায়িত্ব পালনের মাধ্যমেই কেবল সুবিচারের লক্ষ্য অর্জিত হতে পারে। এই বিচার অঙ্গন পারস্পরিক সহনশীলতা, সহমর্মিতা ও ভালোবাসায় আলোকিত হোক, এটিই প্রত্যাশা।”

রোববার (৮ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এক নম্বর এজলাসে প্রধান বিচারপতিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি।

ওবায়দুল হাসান বলেন, “সংবিধানের প্রতি লক্ষ্য রেখে বিচার প্রশাসনকে রাখতে হবে দুর্নীতিমুক্ত, স্বাধীন এবং সোশ্যাল জাস্টিস তত্ত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। একটি দুর্নীতিমুক্ত বিচার ব্যবস্থা দেশ ও জাতির জন্য গর্বের।”

প্রধান বিচারপতি বলেন, “বিচারকের রায়ের সমালোচনা করার অধিকার বাকস্বাধীনতার এক অংশ বলে আমি মনে করি। আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসংগত বাধানিষেধ সাপেক্ষে সংবিধানে এই বাকস্বাধীনতার নিশ্চয়তা বিধান করা হয়েছে। দেশে যে মুক্ত সাংবাদিকতা বিরাজ করছে তার ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখার জন্যে যথেচ্ছা সমালোচনার পরিবর্তে জেনে-শুনে সমালোচনা প্রয়োজন। তবে কেউ যদি স্বাধীনতার অপব্যবহার করে, তা সংবাদমাধ্যমই হোক, আইনজীবীই হোক বা যে কেউ হোক তাকে শায়েস্তা করার জন্য আদালতের হাত যথেষ্টই লম্বা।”

ওবায়দুল হাসান আরও বলেন, “একটি কথা একটু অপ্রিয় হলেও বলতে চাই, কোনো বিষয়ে ভালোভাবে না জেনে বা যথেচ্ছভাবে বিচারক ও আদালত সম্পর্কে কটু মন্তব্য মোটেই সভ্যতার ইঙ্গিত বহন করে না। সাবেক প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমানের ভাষায় আমিও উচ্চারণ করতে চাই, কোনো বিচারকই সমালোচনার ঊর্ধ্বে নন। সভ্য জগতে ভব্য সমালোচনার একটা অবকাশ রয়েছে।”

Link copied!