• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০২ মে, ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২, ৩ জ্বিলকদ ১৪৪৬

চাচার পাশেই দাফন হলো সাংবাদিক বৃষ্টির


কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০২৪, ০৮:১১ এএম
চাচার পাশেই দাফন হলো সাংবাদিক বৃষ্টির
বৃষ্টি খাতুন। ছবি : সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুনকে পারিবারিক কবরস্থানে বড় চাচার পাশে সমাহিত করা হয়েছে।

সোমবার (১১ মার্চ) রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে বৃষ্টি খাতুনের মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বনগ্রাম পশ্চিমপাড়ায় পৌঁছায়। এ সময় বৃষ্টির মরদেহের অপেক্ষায় থাকা শোকার্ত স্বজন ও গ্রামের মানুষের ঢল নামে। বৃষ্টির লাশবাহী অ্যাম্বুলেস ঘিরে শোকার্তদের মাতম করতে দেখা যায়।

ঢাকায় লাশ হস্তান্তরের খবর নিশ্চিত হওয়ার পর নিহতের দাফনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। নিহত বৃষ্টির বড় চাচা মোবারক শেখের কবরের পাশে তার কবরের জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছিল। মরদেহ পৌঁছানোর আগেই স্থানীয় লোকজন বাড়ি থেকে ১০০ গজ দূরে বাঁশ বাগানের ভেতরে কবর কাটা থেকে দাফনের সমস্ত কাজ সম্পন্ন করে রাখে।

বিকেলে নিহতের গ্রামে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সন্ধ্যার পর পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল আখতার, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনুনর যায়েদ, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর আব্দুল মজিদসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা নিহতের বাড়িতে উপস্থিত হন।

রাত পৌনে ১০টার দিকে বনগ্রাম পশ্চিম পাড়ার জামে মসজিদের মাইকে বৃষ্টির জানাজার ঘোষণা দেওয়া হয়। এর পর নিজের বাড়ির আঙ্গিনায় মরহুমার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। গ্রামের কয়েকশ মানুষ এই জানাজায় অংশ নেন।

রবিউল ইসলাম নামে একজন নিকট আত্মীয় জানাজা নামাজে ইমামতি করেন। জানাজার পরে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে চাচা মোবারক শেখের কবরের পাশে বৃষ্টিকে সমাহিত করা হয়।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত হন বৃষ্টি খাতুন। পরিচয় জটিলতার কারণে ১১ দিন পর আদালতের মাধ্যমে আজ সোমবার বিকেলে নিহতের বাবা সবুজ শেখের কাছে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের মর্গ থেকে লাশ হস্তান্তর করা হয়।

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!