বিএনপির ঘোষিত ১০ দফা ও ২৪ ডিসেম্বর গণমিছিলের সঙ্গে মিল রেখে একই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াত।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বিকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
দেশের চলমান পরিস্থিতি তুলে ধরে শফিকুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশ আজ এক ভয়াবহ পরিস্থিতিতে নিপতিত। দেশ অব্যাহতভাবে নতুন নতুন সংকটের দিকে ধাবিত হচ্ছে। দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা-সংস্কৃতি ও সামাজিক অঙ্গণে এক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি বিদ্যমান।”
তিনি বলেন, “২০০৮ সালে সাজানো নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমান সরকার জনগণের ওপর চেপে বসেছে। তারা ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য আদালতের দোহাই দিয়ে কেয়ারটেকার সরকারব্যবস্থা বাতিল করে। অথচ আদালতের রায়ে পরপর দুটি নির্বাচন কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে করার কথা বলা হয়েছিল। তারা ক্ষমতার মোহে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়।”
জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, “২০১৪ ও ২০১৮ সালে নির্বাচনের নামে প্রহসনের আয়োজন করে অন্যায় ও অনৈতিকভাবে বাংলাদেশের ক্ষমতা দখল করে। আজ বাংলাদেশে জনগণের ভোটাধিকার নেই, কথা বলা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। চলাফেরা, মিছিল-মিটিং, সভা-সমাবেশ করার কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশ আজ এক অধিকারহারা জাতিতে পরিণত হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “ক্রমাগতভাবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, জ্বালানি তেল, কৃষি ও শিক্ষা উপকরণ এবং ভোজ্যতেলের মূল্য দফায় দফায় বৃদ্ধি পেয়ে জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। দেশে বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস সংকটের কারণে জনগণকে ব্যাপক দুর্ভোগের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।”