ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সীমান্ত হত্যাকাণ্ড অব্যাহত রাখলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) আরও কঠোর অবস্থানে যাবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
শনিবার (১ মার্চ) কক্সবাজারে ৬৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, “অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটুক আর যাই ঘটুক, হত্যা কোনো চূড়ান্ত সমাধান হতে পারে না। আমরা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছি, এটা কোনোভাবেই কাম্য নয় এবং এটা মেনে নেওয়া যায় না।”
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, “এভাবেই যদি চলতে থাকে, তাহলে ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীদের যে আমরা সুন্দরভাবে নিয়মের মধ্যে গ্রেপ্তার করে হস্তান্তর করি, সেটা কতটুকু আর করা যাবে।”
মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী আরও বলেন, “আমরা এ ধরনের ঘটনার প্রতিবাদ চালিয়ে যাব। আর যদি একটি হত্যার ঘটনাও ঘটে, তাহলে আমরা আরও কঠোর অবস্থানে যাব।”
এর আগে শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন ৩২ বছর বয়সী বাংলাদেশি নাগরিক আল-আমিন।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সামিউল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাতে আল-আমিনকে পুটিয়া সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার বাইরে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। বিএসএফ তাকে চোরাচালানকারী সন্দেহে গুলি চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে বিএসএফ সদস্যরা তাকে ভারতের বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই তিনি মারা যান।
বিজিবি প্রধান জানান, এই ঘটনায় প্রায় ১৫-২০ জন অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করছিলেন। বিএসএফ বাধা দেওয়ার পর সংঘর্ষ বাঁধে এবং বিএসএফ রাবার বুলেট ছোঁড়ে। বিএসএফের একটি বুলেট আল-আমিনের পেটে আঘাত করে, যার ফলে তার মৃত্যু হয়। বিএসএফ দাবি করেছে, তাদের একজন সদস্যও সংঘর্ষে আহত হয়েছে। তারা এই ঘটনার কিছু ছবিও পাঠিয়েছে বিজিবির কাছে।
মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, “কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে, বাংলাদেশ সীমান্ত হত্যার বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে।”
 
                
              
 
																
 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    





























