• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

যেভাবে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেল সুলতানস ডাইন


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২৩, ০২:৩৭ পিএম
যেভাবে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেল সুলতানস ডাইন

গুলশান শাখায় কাচ্চিতে খাসির পরিবর্তে অন্য প্রাণীর মাংস ব্যবহারের অভিযোগ থেকে সুলতানস ডাইনকে অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

সোমবার (১৩ মার্চ) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল স্বাক্ষরিত সুলতানস ডাইনের বিরুদ্ধে কাচ্চিতে অন্য প্রাণীর মাংস ব্যবহারের অভিযোগ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সুলতানস ডাইনের কাচ্চিতে খাসির পরিবর্তে অন্য প্রাণীর মাংস ব্যবহারের অভিযোগের বিষয়টি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের দৃষ্টিগোচর হলে,  ৯ মার্চ পৌনে ৪টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির গুলশান-২ শাখায় সরেজমিনে তদন্ত করা হয়। সোমবার অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের পক্ষে জিএম, এজিএম এবং ওই শাখার ম্যানেজার শুনানিতে উপস্থিত হয়ে মৌখিক ও লিখিত বক্তব্য দেন।

তদন্তের বর্ণনা দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, সরেজমিনে তদন্ত এবং অভিযুক্তের মৌখিক ও লিখিত বক্তব্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, অভিযুক্ত সুলতানস ডাইন কাপ্তান বাজারের মা-বাবার দোয়া গোস্ত বিতান নামক ভেন্ডরের মাধ্যমে খাসির মাংস সংগ্রহ করে। খাসি কাটার সময় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মাঝেমধ্যে সেখানে উপস্থিত থাকেন। কাটার পর ভেন্ডর নিজ দায়িত্বে মাংস অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানে পৌঁছায়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ৯ মার্চ অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মৌখিকভাবে ১৫০ কেজি খাসির মাংস সংগ্রহের কথা জানান। কিন্তু ভেন্ডর ১২৫ কেজি সরবরাহের কথা জানান। সন্দেহযুক্ত চিকন হাড়ের ব্যাপারে অভিযুক্ত জানান যে, ৭ থেকে ৯ কেজি ওজনের খাসির মাংস তারা ব্যবহার করেন এবং আকারে ছোট হওয়ায় এসব খাসির হাড় চিকন হয়। যে মোবাইল নম্বর থেকে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানে অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল, তা বন্ধ পাওয়া যায় বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।

এ ছাড়া খাসি বাদে অন্য প্রাণীর মাংসের ব্যবহার নিঃসন্দেভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় সুলতানস ডাইনসকে অন্য প্রাণীর মাংস ব্যবহারের অভিযোগ থেকে অব্যহতি দেওয়া যেতে পারে।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সুলতানস ডাইনের কাচ্চিতে খাসির পরিবর্তে অন্য প্রাণীর মাংস ব্যবহারের অভিযোগ করেন এক ভোক্তা। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যেম ব্যাপক ভাইরাল হয়। পরে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সুলতানস ডাইনের গুলশান-২ শাখায় অভিযান চালায়। ওই শাখাকে শুনানির জন্য ডাকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই এই তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়।

Link copied!