গত ২৬ মার্চ প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদনটিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
বুধবার (২৯ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন। গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলো প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের প্রতিবাদে মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, “যে খবরটি প্রকাশিত হয়েছে, সেই প্রতিবেদক ও নির্বাহী সম্পাদক খবরটি প্রত্যাহার করে নিয়ে প্রমাণ করেছেন এটি ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক। সাংবাদিকতা নৈতিকতার সঙ্গে পরিপূর্ণ। সাংবাদিকতার সঙ্গে নৈতিকতাও রক্ষা করতে হবে। সাংবাদিকতার সঙ্গে অপসংবাদিকতা প্রমাণিত হলে আমরা ছেড়ে দেব না। আমরা প্রতিবাদে নেমেছি, প্রতিবাদ করতেই থাকব ও ষড়যন্ত্রের বিষ দাঁত আমরা ভেঙে দেব।”
এই ঘটনাকে ১৯৭৪ সালে ইত্তেফাকে প্রকাশিত কুড়িগ্রামের চিলমারীর বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বাসন্তীর ঘটনার সঙ্গে তুলনা করেছেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী ফোরামের এই নেতা। তিনি বলেন, “ষড়যন্ত্রকারীরা ৭৪’ সালে দেশের পরিস্থিতি বোঝাতে জাল গায়ে দিয়ে বাসন্তীর ছবি ছাপিয়েছে। সারা বিশ্বকে একটি বার্তা দিয়েছিল ও আমার স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেছিল। সেই ষড়যন্ত্র এখনো চলমান রয়েছে। গত ২৬ মার্চ কী কারণে সবুজকে জাকিরের নাম দিয়ে সংবাদ ছাপা হলো? সেই সংবাদ তারা কেন ও কী উদ্দেশ্যে ছাপাল? এই পত্রিকাটি (প্রথম আলো) সব সময় আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।”
ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ নেই উল্লেখ করেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, “স্বাধীনতার ৫২ বছরে এসে যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়ন-অগ্রগতি ও শান্তির ধারায় এগিয়ে যাচ্ছে, তখন ষড়যন্ত্র করে আর কোনো লাভ হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের উন্নয়ন ও অগ্রগতির এই ধারাকে কোনোভাবেই ব্যাহত করা যাবে না।”
মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি ও সাধারণ সম্পাদক শবনম জাহান শিলাসহ সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ শাখার নেত্রীরা।
আপনার মতামত লিখুন :