• ঢাকা
  • বুধবার, ০১ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ২০ শতাংশ বেশি রপ্তানি আয়: বাণিজ্যমন্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২৩, ০৪:৩৭ পিএম
লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ২০ শতাংশ বেশি রপ্তানি আয়: বাণিজ্যমন্ত্রী

লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও প্রায় ২০ শতাংশ বেশি রপ্তানি আয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি আরও বলেন, “২০২২ সালের ডিসেম্বরে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি আয় এসেছে।”

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) ‘অর্থসূচক ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপো ২০২৩’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

টিপু মুনশি বলেন, “দেশের পোশাক খাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ডিসেম্বর মাসে যে রপ্তানি আয় এসেছে, সেটা সর্বকালের রেকর্ড অতিক্রম করেছে। গত বছর ৫১ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলাম, বছর শেষে সেটা ৬১ বিলিয়ন ডলার হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও প্রায় ২০ শতাংশ বেশি। সেই সাহস নিয়ে এবার ৬৭ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। ২০২৪ সালে আমরা ৮১ বিলিয়ন ডলার চাই।”

উন্নত অর্থনীতির দেশে ৫০ শতাংশের বেশি টাকা পুঁজিবাজার থেকে নেওয়া হয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “আমাদের দেশে সেই অবস্থা নেই। দেশে ব্যাংক থেকে লোন নেওয়া হচ্ছে। যার জন্য বেশ কিছু সমস্যাও হচ্ছে। যদি ৫০ শতাংশ অর্থও পুঁজিবাজার থেকে আসত, তবে আমাদের দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতি হতে বাধ্য।”

টিপু মুনশি যোগ করেন, “আমরা এখন একটা বৈশ্বিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। তারপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার পরিস্থিতি সামলে নিয়েছে। আমরা মোটামুটি ভালো অবস্থানে রয়েছি। দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন একটা গোষ্ঠী খুব চালাকির সঙ্গে গুজব ছড়াচ্ছে। তারা মিথ্যা বলছে, মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। এ গোষ্ঠী দেশের উন্নয়ন চায় না।”

শুধু পুঁজিবাজার না, রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও উন্নয়নের বিরুদ্ধে কথা বলতে চান উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “তারা কিন্তু এ দেশটার উন্নতি চান না। এ লোকগুলা পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। এরপর ‘জয় বাংলা’কে তারা ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ করার অপচেষ্টা করেছে। মূল রাজনীতির দৃষ্টিভঙ্গিটা পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তারা।”

মন্ত্রী আরও বলেন, “আমাদের গার্মেন্টস শিল্পে মহাক্রান্তিকাল এসেছিল, যখন রানা প্লাজা ধসে যায়। বহু শ্রমিক নিহত হলেন। পৃথিবীর ক্রেতারা অস্থির হয়ে পড়েন। গার্মেন্টস শিল্পের মালিকরাও অস্থির হয়ে পড়েন, আমাদের কী জানি হয়! ক্রেতার যদি মুখ ফিরিয়ে নেন! কিন্তু একটা জিনিস লক্ষণীয়, আমরা সেই বিপদের পরেই ঘুরে দাঁড়িয়েছি। আমরা কম্পলাইনস করেছি। আজ পৃথিবীর সব থেকে বেশি গ্রিন ফ্যাক্টরি আমাদের।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। অতিথি ছিলেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম, বাংলাদেশ পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএপিএলসি) প্রেসিডেন্ট আনিস উদ দৌলা, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট মো. ছায়েদুর রহমান এবং ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডি রোজারিও।

Link copied!