• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

এমডির পক্ষে রাস্তায় ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২৩, ০১:০৭ পিএম
এমডির পক্ষে রাস্তায় ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানের প‌ক্ষে প্রতিষ্ঠান‌টির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন। তাদের দাবি, তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে যে সংবাদ প্রকাশিত হ‌য়ে‌ছে, সে‌টি মিথ্যা ও বানোয়াট।

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সকালে কাওরান বাজারে ঢাকা ওয়াসা ভবনের সামনে প্রতিষ্ঠান‌টির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।

ওয়াসার কর্মকর্তা মো. র‌ফিকুল ইসলাম ব‌লেন, “আমা‌দের স্যারের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দি‌য়ে সংবাদ পরিবেশন করা হ‌য়ে‌ছে। এর প্রতিবা‌দে আমরা ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতিবাদ সমাবেশ কর‌ছি।”

প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দেওয়া আরেক কর্মকর্তা বলেন, “আমরা স্বেচ্ছায় প্রতিবাদ সমাবেশে এসে‌ছি। প‌ত্রিকায় মিথ্যা তথ্য দি‌য়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। স্যার সৎ মানুষ।”

ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম খানের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ বাড়ির যে তথ্য সামনে এসেছে তা নিয়ে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।এর আগে দৈনিক সমকালের একটি প্রতিবেদনে প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জন ও যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ি কেনার বিষয়টি উঠে আসে। এ বিষয়ে দুদকে দুটি অভিযোগ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তাকসিম এ খানের বাড়ি কেনার অর্থের উৎস ও লেনদেন প্রক্রিয়ার তত্ত্বতালাশে নেমেছে ইন্টারপোলসহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। বিপুল পরিমাণ অর্থে একের পর এক বাড়ি কেনার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে গোয়েন্দা তালিকায় সন্দেহভাজন হিসেবে তাকসিমের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ বাড়ি কেনা এবং অর্থ পাচারকারী হিসেবে আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থার তালিকায় তাকসিম খানের নাম থাকা নিয়ে সম্প্রতি দুটি অভিযোগ জমা পড়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। অভিযোগে কিছু বাড়ির সুনির্দিষ্ট ঠিকানা, ছবি, কোন বাড়ি কখন, কত টাকায় কেনা, তা উল্লেখ করা হয়েছে। তাকসিম সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) ‘গভর্নমেন্ট ওয়াচ নোটিশ’-এর একটি কপি অভিযোগের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়।

যদিও এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) তাকসিম এ খান দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রে তার কোনো বাড়ি নেই। একটি বাড়ি আছে, সেটি তার স্ত্রীর নামে। সেখানে ১৪ বাড়ি থাকার ব্যাপারে মিথ্যা প্রতিবেদন করা হয়েছে।

Link copied!