খুনিরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শারীরিকভাবে হত্যা করলেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নীতিকে হত্যা করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মারকগ্রন্থ ‘আমি তোমাদেরই লোক’র মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন আ ক ম মোজাম্মেল হক।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, “বঙ্গবন্ধুকে হত্যা শুধু একজন ব্যক্তিকে হত্যা নয়, একটি আদর্শকে হত্যার অপচেষ্টা ছিল। খুনিরা মনে করেছিল শেখ মুজিবকে সপরিবারে হত্যা করলে এ দেশে তার নাম-নিশানা বলতে কিছু থাকবে না। তার নাম নেওয়ার জন্যও কেউ থাকবে না। কিন্তু আজ সারা বাংলায় বঙ্গবন্ধুর অস্তিত্ব বিদ্যমান।”
মন্ত্রী বলেন, “গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শুয়ে যেন বঙ্গবন্ধু জাতিকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। এতে প্রমাণ হয়, জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে মৃত বঙ্গবন্ধু অনেক বেশি শক্তিশালী। তিনি মরেও অমর। তিনি চিরঞ্জীব।”
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা প্রমুখ।
টিপু মুনশি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান অনেক। তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উন্নয়নে অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য প্রদানের জন্য টিসিবি গঠন করেছিলেন। দেশের রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য নানামূখী পদক্ষেপ গ্রহণ করছিলেন। সেই অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে এবং সম্পৃক্ততা তুলে ধরার জন্য এ ‘আমি তোমাদেরই লোক’ নামক স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ করা হয়েছে।”
টিপু মুনশি বলেন, “বঙ্গবন্ধু খুব সহজে এবং কম সময়ে মানুষকে আপন করে নিতে পারতেন এবং কাছে টেনে নিতে পারতেন। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে আমার বাবাসহ আমি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম। বঙ্গবন্ধু আমার আদর্শ। মহান মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে তার আদর্শকে হত্যা করতে চেয়েছিল। তারা সফল নি।”
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ দিয়ে গেছেন। আজ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।”