• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০২ মে, ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২, ৩ জ্বিলকদ ১৪৪৬

পাল্টে গেল ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’, ফিরল আগের নামে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১১, ২০২৫, ১২:০৭ পিএম
পাল্টে গেল ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’, ফিরল আগের নামে
ছবি : সংগৃহীত

পয়লা বৈশাখে এবার ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’র আয়োজন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ। এই শোভাযাত্রায় ২৮টি জাতিগোষ্ঠী অংশ নেবে। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকালে বিশ্ববদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাবির চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আজাহারুল ইসলাম শেখ।

পয়লা বৈশাখের শোভাযাত্রার নাম ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ থাকছে নাকি এর নাম পরিবর্তন করা হবে, তা নিয়ে কিছুদিন ধরে আলোচনা চলছিল। এ অবস্থায় গত মঙ্গলবার সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আলোচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাবে।

ওই সিদ্ধান্ত জানিয়ে চারুকলা অনুষদের ডিন বলেছেন, শোভাযাত্রার নাম ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। এ শোভাযাত্রা সমাজের সব শ্রেণির মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে। এই শোভাযাত্রায় ২৮টি জাতিগোষ্ঠী অংশ নেবে।

আজাহারুল ইসলাম শেখ বলেন, চারুকলা অনুষদ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। এবারের নববর্ষ ফ্যাসিবাদ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে বার্তা দিবে। প্রতিটি মানুষকে মুক্তির বার্তা দেবে।

চারুকলা অনুষদের ডিন বলেন, যখন শোভাযাত্রা শুরু হয় ১৯৮৯ সালে, তখন আনন্দ শোভাযাত্রা ছিল। সেখানেই ফিরতে চাই। কারণ এখানে সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণ থাকবে।

আজাহারুল ইসলাম শেখ বলেন, কোনো চাপ নেই। মঙ্গলের ব্যানারে সর্বস্তরের মানুষের অংশ ছিল না। তাই পুরোনো নামটি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গল শব্দে কোনো আপত্তি নেই।

বাংলা নববর্ষ উদযাপনের অন্যতম অনুষঙ্গ শোভাযাত্রা। বর্ষবরণের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় এ শোভাযাত্রা। ১৯৮৯ সালে স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ঐক্য ও অপশক্তির অবসান কামনা করে প্রথমবারের মতো এই শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতে এর নাম ছিল আনন্দ শোভাযাত্রা। ১৯৯৬ সালে নাম পরিবর্তিত হয়ে হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা।

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!