• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে বিশ্ব ইজতেমার ময়দান : আইজিপি


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২৪, ০৫:৪৬ পিএম
নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে বিশ্ব ইজতেমার ময়দান : আইজিপি
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। ছবি : সংগৃহীত

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, “বিশ্ব ইজতেমার ময়দান নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বা‌হিনীর ১৫ হাজার সদস্য নি‌য়ে ছয় স্ত‌রের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হ‌য়ে‌ছে।”

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় পুলিশের কন্ট্রোল রুমে নিরাপত্তা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, “ইজতেমা নিয়ে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা ও আস্থা রয়েছে। আমরা তাদের ব্রিফিং দিয়েছি, প্রশিক্ষণ দিয়েছি, কে কখন কোথায় কীভাবে দায়িত্ব পালন করবে, সেভাবে তাদের প্রস্তুত করেছি।”

আইজিপি বলেন, “সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তমূলক পোস্ট দিয়ে কেউ যেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে না পারে, সে জন্য আমাদের সাইবার মনিটরিং ও সাইবার পেট্রোলিং জোরদার করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, “আমি দেশবাসীকে অনুরোধ করব, আপনারা গুজবে কান দেবেন না। একটি দল দেশের শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট করার জন্য চেষ্টা করছে। বিভিন্ন দল, গ্রুপ ও সম্প্রদায়ে বিভেদ সৃষ্টির মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়।”

আইজিপি বলেন, “ইজতেমার ময়দানে নিরাপত্তায় বোম ডিসপোজাল ইউনিট, সোয়াট টিম, ডগ স্কোয়াড, বিস্ফোরক প্রশিক্ষক টিম, ক্রাইম সিন, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই রোধে আমাদের প্রশিক্ষক টিম, নৌবহর ও হেলিকপ্টার দিয়েও টহল ব্যবস্থা প্রস্তুত থাকবে। এ ছাড়া পর্যাপ্তসংখ্যক সিসি টিভি ক্যামেরা, আইপি ক্যামেরা ও নাইট ভিশন ক্যামেরা দিয়ে সার্ভিসেস করব। ওয়াচ টাওয়ার থাকবে, সাদা পোশাকে এবং পোশাকে পুলিশের সদস্যরা থাকবে।”

আইজিপি আরও বলেন, “ইজতেমায় যদি ভিআইপি-ভিভিআইপিরা আসেন তাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও বিবেচনায় রেখে পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। নিরাপত্তা পরিকল্পনা শুধু যে ইজতেমা এলাকায় তা কিন্তু নয়। এ নিরাপত্তা পরিকল্পনা রেলস্টেশন থেকে শুরু করে, ঢাকা মহানগর পুলিশের এলাকা থেকে শুরু করে, গাজীপুর মহানগর পুলিশ, ঢাকা মহানগর পুলিশ সবাই মিলে আমরা একটি নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। র‌্যাব, ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌপুলিশ ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান আছে। সবাই সমন্বয় করে নিরাপত্তা পরিকল্পনা করা হয়েছে।”

Link copied!