বৈশ্বিক খাদ্যসংকটের ঝুঁকির মধ্যেও কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন ও অভাবনীয় সফলতা দেখিয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি হয়নি। এতে অনেকটাই সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে টানা তিন মেয়াদের পঞ্চম বছরে পা রাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার।
কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। শুধু তা-ই নয়, দারিদ্র্য, ঘনবসতি, নগরজীবনের নানা অনিশ্চয়তা আর জলবায়ুর পরিবর্তনের ভেতর বাংলাদেশের সম্ভাবনা ও টিকে থাকার মূল জায়গাটি হচ্ছে ভূমি ও কৃষক সম্প্রদায়। অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ বিজয় অর্জনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিপ্লবের সূচনা করেছিলেন।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির প্রভাব উৎপাদনকে বহুগুণে বাড়িয়ে দেবে। জনসংখ্যা বাড়লেও খাদ্য উৎপাদন বাড়ার কারণে কোনো অসুবিধায় পড়তে হবে না। এখন তা সঠিক প্রমাণিত হয়েছে। যে কারণে বাংলাদেশে প্রতিবছর আবাদি জমি কমে গেলেও বিপরীতে উৎপাদন বাড়ছে কয়েক গুণ হারে। ফলে যুদ্ধ-মহামারিতে কোনো খাদ্যঘাটতির শঙ্কা দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা।
খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বলাই কৃষ্ণ হাজরা গণমাধ্যমকে বলেন, “আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলে দাবি করতে পারি। আমাদের জনগোষ্ঠীর খাদ্য চাহিদা আমরা মেটাতে পারব। কোনো ঘাটতি দেখা দেবে না। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলছি এ ধারণা থেকে যে আমাদের প্রায় ৩৭ লাখ গরু রয়েছে। জনসংখ্যার তুলনায় যা যথেষ্ট। আর বিশ্বের মাছ উৎপাদন বাড়ার ক্ষেত্রে দ্বিতীয়তে রয়েছে বাংলাদেশ। আমাদের গবাদিপশুর জন্য দেড় থেকে দুই কোটি মেট্রিক টন দানাদার খাদ্যশস্য লাগে। সেই কথা বিবেচনা করলে বিপুল এ পরিমাণ গবাদিপশু ও মানুষের খাবারের পুরোটাই আমরা উৎপাদন করছি।”
কৃষ্ণ হাজরা বলেন, “১৯৭২ সালে এ দেশে খাদ্যশস্যের মোট উৎপাদন ছিল এক কোটি টন। ২০২১ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ দশমিক ৪ মিলিয়ন বা ৪ কোটি ৫৪ লাখ টনে। এ ৫০ বছরে খাদ্যশস্যের গড় প্রবৃদ্ধির হার বছরে ৩ শতাংশ।”
তিনি আরও বলেন, “বিশ্বজুড়ে মন্দার কথা হচ্ছে; কিন্তু বড় কোনো জলবায়ু বিপর্যয় দেখা না দিলে বাংলাদেশে কোনো সমস্যা হবে না। নিশ্চিত করে বলতে পারি, আমরা নিজেদের চাহিদা পূরণ করে প্রতিবেশী দেশগুলোকেও সহায়তা করতে পারব।”
একই কথা বলেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আরেক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, “আমাদের এখানে দুর্ভিক্ষের কোনো শঙ্কা নেই। যদিও গম উৎপাদন একটু কম; কিন্তু এটি আমাদের দেশের ফসল না।”
দুর্যোগে ও সচল রয়েছে কৃষি:
করোনা সংক্রমণের কারণে দেশের সবকিছু যখন স্থবির, তখনো সচল ছিল কৃষির চাকা। এরই মধ্যে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এ দুঃসময়ে কৃষিই সম্ভাবনার পথ দেখাচ্ছে। শুধু করোনা সংকটে নয়। গত এক দশকে ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা ও জলবায়ু পরিবর্তনের ধাক্কা সামলে কৃষি বারবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ধান, গম, ভুট্টা, আলু, সবজি ও মাছ উৎপাদনে শীর্ষ কাতারে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। এমনটি জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রনালয়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা।
উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ
স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলে তাচ্ছিল্য করেছিল বিদেশিরা। সেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। কৃষিনির্ভর অর্থনীতি ছিল এক সময় এ অঞ্চল। কিন্তু কৃষিনির্ভর অর্থনীতি থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে এসে শিল্প ও সেবাখাতমুখী হয়েছে অর্থনীতি। সামাজিক ও রাজনৈতিক কাঠামো পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে গেছে অর্থনৈতিক কাঠামোও। বিশাল জনসংখ্যার দেশে কৃষি জমি কমলেও কৃষি এখনো অর্থনীতির প্রাণ। প্রযুক্তির ছোঁয়া পেয়েছে কৃষি। বদলে যাওয়া এ সময়ে কৃষিতে যুক্ত হচ্ছেন শিক্ষিত তরুণরাও। ফলে খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে অনন্য উদাহরণ।
কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীর গণমাধ্যমকে জানান, স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের অগ্রগতিতে প্রধান ভূমিকা কৃষক, কৃষিবিজ্ঞানী ও উদ্যোক্তাদের। তাদের সাফল্যের কারণে খাদ্যঘাটতি থেকে আজ খাদ্যে অনেকটাই স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ। কৃষি বিজ্ঞানীদের খাদ্যশস্যের নতুন নতুন জাতের উদ্ভাবন, ভর্তুকি দিয়ে সার ও সেচের পানিপ্রাপ্তি সহজ করা, বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও দুর্যোগসহিষ্ণু শস্যের জাত উদ্ভাবন, ১ কোটি ৮০ লাখের বেশি কৃষকের মধ্যে কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড বিতরণ, ১০ টাকার বিনিময়ে কৃষকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলাসহ নানা রকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে গত ১৪ বছরে। যে কারণে বাংলাদেশ কৃষিতে পেয়েছে অভাবনীয় সফলতা।
উৎপাদন বেড়েছে, জমি কমেছে
বাংলাদেশের কৃষিবিদরা বলছেন, প্রতিবছরই বাংলাদেশে আবাদি জমি কমছে। শহরায়ন ও নগরায়ণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন তৎপরতার কারণে বছরে দশমিক শূন্য সাত শতাংশ জমি কমছে।
এদিকে কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ জমি কমলেও আমাদের গবেষকরা এমন সব ধান, গম ও শস্যের জাত আবিষ্কার করছেন, যার ফলে এ স্বল্প জমিতেও আমরা সাফল্য ধরে রাখতে পেরেছি।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ১৯৭১-৭২ সালে মাথাপিছু জমির পরিমাণ ছিল ২৮ শতাংশ; এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ১০ শতাংশ। প্রতিবছর দেশে মানুষ বাড়ছে ২০ লাখেরও বেশি। কৃষিজমি কমছে ৮ লাখ হেক্টর। তারপরও জনপ্রতি সরবরাহ কমছে না কৃষিপণ্যের; বরং তা দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি এখনো কৃষি। বিশ্বে বাংলাদেশ চাল উৎপাদনে তৃতীয় স্থানে থাকলেও বিভিন্ন ফসলের জাত উদ্ভাবন ও উন্নয়নে বাংলাদেশের স্থান হলো সবার ওপরে।
২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশে রেকর্ড ৩ কোটি ৮৯ লাখ টন চাল উৎপাদন করে ইন্দোনেশিয়াকে পেছনে ফেলে দেয় বাংলাদেশ। আর চাল উৎপাদনকারী শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে। এছাড়া ইলিশ উৎপাদনে বিশ্বে প্রথম, পাট উৎপাদনে বাংলাদেশ দ্বিতীয়, সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, মৎস্য উৎপাদনে তৃতীয়, আম উৎপাদনে সপ্তম এবং আলু উৎপাদনে সপ্তম স্থানে রয়েছে। এছাড়া কাঁঠাল উৎপাদনে বিশ্বের দ্বিতীয় এবং পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম স্থানে বাংলাদেশ।
কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, বছরে ১০ শতাংশ হারে ফল চাষের জমি বাড়ছে। এক দশকে দেশে আম উৎপাদন দ্বিগুণ, পেয়ারা দ্বিগুণের বেশি, পেঁপে আড়াই গুণ এবং লিচু উৎপাদন ৫০ শতাংশ হারে বেড়েছে। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে চালের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় চার গুণ, গম দুই গুণ, ভুট্টা ১০ গুণ ও সবজির উৎপাদন বেড়েছে পাঁচ গুণ। খাদ্যশস্য ছাড়াও মাছ উৎপাদনেও বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। ফলে মাছ রফতানিও বাড়ছে। আলু উৎপাদনে উদ্বৃত্ত। তাই দুর্ভিক্ষ, মঙ্গা আর ক্ষুধার দেশে এখন ঈর্ষণীয় উন্নতি হয়েছে খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহে।
এ বিষয়ে সর্বশেষ সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, “আমরা এবার বেশি পেঁয়াজ আমদানি করিনি। এপ্রিল মাসে যে পেঁয়াজটা তোলা হয়, এটি গত বছর ভালো হয়েছে। আমাদের সমস্যা হলো, পেঁয়াজ মজুত রাখা। এটা না হলে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। একটি পত্রিকায় খবর এসেছে, এক বিঘা জমিতে প্রায় বিশ থেকে পঁচিশ হাজার টাকা খরচ করে, এক লাখ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি করতে পেরেছে কৃষক।”
কৃষিতে নতুন জাত
গবেষণা করে বিভিন্ন ফসলের ৯৭২টি জাত ও ১ হাজার ৩৯২টি উন্নত কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন কৃষি বিজ্ঞানীরা। দেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে এটি বড় ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে মুখ্য ভূমিকা রেখে চলেছে এ প্রযুক্তি। বিশেষ করে বিনা ১৬, বিনা ১৭ ধান ব্যাপক ভালো হচ্ছে; কৃষকরাও সুফল পাচ্ছেন। বিনা ধান-১৭ খরা সহিষ্ণু স্বল্পমেয়াদি। সার কম লাগে উন্নত গুণাগুণ সম্পন্ন আমন ধানের এ জাতটিতে। লবণাক্ত এলাকা ছাড়া দেশের সব রোপা আমন অঞ্চল বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে জাতটির অধিক ফলন পাওয়া যায়। বিনা ধান-১১ বন্যা সহিষ্ণু ও অধিক ফলনশীল আমন ধানের জাত। এ জাতটি ২৫ দিন পর্যন্ত পানিতে সম্পূর্ণ ডুবে থাকলেও মারা যাবে না।
বিনা উদ্ভাবিত জাতের মধ্যে ধানের ২৪টি, তেল ফসল ৩০টি, ডাল ফসল ৩৩টি, গম ১টি, পাট ২টি, সবজি ১৪টি, মসলা জাতীয় ৬টি এবং লেবু জাতীয় ২টি জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। এর ফলে দেশের কৃষি গবেষণা, কৃষি সম্প্রসারণ ও কৃষি শিক্ষায় এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশের অনেক খাতেই গর্ব করার মতো সাফল্য রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কৃষিখাত। এ অর্জনের পেছনে সবার আগে অবদান রয়েছে দেশের কৃষি বিজ্ঞানীদের।”
কৃষি অবদান রাখছে জিডিপিতে
স্বাধীনতার পর দেশের ৮৫ শতাংশ মানুষ কৃষির ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল ছিল। বর্তমানে এ হার ৪০ দশমিক ৬ শতাংশ। ১৯৭৩-৭৪ সালে জিডিপিতে কৃষির অবদান ছিল ৫৮ দশমিক ০৪ শতাংশ, ২০১৯-২০ সালে ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ, বর্তমানে তা ২০ শতাংশের নিচে নেমে এলেও মোট অবদান বেড়েছে প্রায় ৬ গুণ।
বাংলাদেশে কৃষি জাতীয় অর্থনীতির জীবনীশক্তি। দেশের মোট শ্রমশক্তির ৪২ দশমিক ৬২ শতাংশ কৃষিক্ষেত্রে নিয়োজিত। গত দুই বছরে করোনার প্রকোপে যখন জিডিপিতে সর্বোচ্চ অবদান রাখা সেবা খাতসহ অন্যান্য খাতে ধস নেমেছিল, তখন কৃষি খাতই দেশের অর্থনীতিকে প্রাণবন্ত রাখতে পেরেছিল।
কৃষিতে আসছে তরুণরা
শহর ছেড়ে অনেক বেকার তরুণরা গ্রামমুখী হচ্ছেন। তারা গ্রামের পতিত অনাবাদি জমিতে হাঁসমুরগি পালন, গরুর খামার বা মাছের খামার করে ভাগ্য বদলানোর পাশাপাশি একেকজন হয়ে উঠছেন কৃষি উদ্যোক্তা। প্রতিনিয়ত ভাগ্যের চাকা ঘুরানোর গল্প শোনাচ্ছে দেশবাসীকে।
কৃষিনির্ভর এই দেশের কৃষক ও খামারি পর্যায়ে চালু হয়েছে নতুন মেরূকরণে হেঁটে চলার গল্প। যদিও একসময় গ্রামাঞ্চলে হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল পালনই ছিল কৃষকের বাড়তি আয়ের উৎস। কিন্তু কালের পালাবদলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষিত বেকার যুবক ও নারীরা হাঁস, মুরগির বিকল্প হিসেবে বেছে নিচ্ছেন বিকল্প প্রজাতির পাখির খামার। এদের মধ্যে টার্কি, তিতির, উটপাখির খামার উল্লেখযোগ্য।
অন্যদিকে গরু, ছাগল পালনের পাশাপাশি বিকল্প পশুর খামারে ঝুঁকছেন শিক্ষিত তরুণ প্রজন্ম। বাংলাদেশের কৃষি খামারে যুক্ত হয়েছে হরিণ, কুমির, সাপ, উটের মতো বৈচিত্র্যময় পশু। ফল ও সবজি চাষেও তরুণরা দেশের কৃষির চিত্র পাল্টে দিচ্ছেন। আম, বিদেশি ফল ও সবজি চাষে তারা সূচনা করেছেন নতুন দিগন্তের।
যেমন দক্ষিণের জেলা পিরোজপুরের তরুণরা সমতল ভূমিতে মাল্টা চাষে সফল হয়েছেন। ঢাকার অদূরে সাভার ও গাজীপুরের কালিয়াকৈরে সবজি চাষে রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়েছেন তরুণেরা। রাজশাহীতে আম আর ধানচাষে তারা সূচনা করেছেন নতুন দিগন্তের। পাহাড়ি অঞ্চলে আম, কমলা, আনারস, কলা আর পেয়ারা চাষে বদলেছে ভাগ্যের চাকা।