• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থার ঘোষণা


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২৩, ০৮:৫৩ পিএম
অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থার ঘোষণা

অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, “যারা মজুতদারি, কালোবাজারি এবং এলসি খোলা নিয়ে দুই নম্বরি করে তাদের বিরুদ্ধে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং সামনেও নেব। প্রয়োজনে আমরা আরও কঠোর ব্যবস্থা নেব। মানুষের কষ্ট যেন না হয় সেদিকে আমরা বিশেষভাবে দৃষ্টি দেব।”

বুধবার (১১ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য নিম্ন আয়ের মানুষের নিত্যপণ্য কেনার ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। এ অবস্থায় অসৎ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মুক্তির জন্য সমবায় মালিকানার ওপর গুরুত্ব দেবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আসলে আমাদের দেশের অর্থনীতি তিন ধরনের; সরকারি, বেসরকারি এবং সমবায়ভিত্তিক। আমাদের সমবায়ভিত্তিক অর্থনীতি আছে; নেই তা নয়। এখানে ভোগ্যপণ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য আমরা বেশি গুরুত্ব দিয়েছি।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা যখন জানলাম বিশ্বব্যাপী খাদ্যের অভাব দেখা দেবে; সঙ্গে সঙ্গে আমরা সবাইকে আহ্বান করেছি কারও এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। যত অনাবাদি জমি আছে আবাদ করা হোক এবং উৎপাদন করা হোক। ফসল, ফলমূল, তরিতরকারি, শাকসবজি- যে যা পারেন উৎপাদন করুন। গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস, মুরগি, কবুতর, কোয়েল যে যা পারেন সকলে লালন পালন করুন। আমাদের খাদ্যের চাহিদা যেন আমরা নিজেরা নিজেদের আওতায় রাখতে পারি সে ব্যবস্থাটা নিয়েছি।”

তিনি বলেন, “এ আহ্বান করার পর সমগ্র দেশেই একটা উৎসব দেখা দিয়েছে। আমাদের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান এবং দেশের সব মানুষই কিন্তু কিছু কিছু উৎপাদন করেছেন। দেশের মানুষের ভোগ্য পণ্যের অধিকার যাতে নিশ্চিত থাকে সেজন্য ভোগ্য পণ্য অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ আমরা পাস করেছি। তার অধীনে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা থেকে শুরু করে আমাদের খাদ্য মন্ত্রণালয়, সব ক্ষেত্রে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে; যাতে করে মানুষের কষ্ট না হয়।”

তিনি আরও বলেন, “আমি সংসদ সদস্যের (প্রশ্নকর্তা) সঙ্গে একমত, আমাদের কিছু ব্যবসায়ী যারা এ ভোগ্যপণ্যের ব্যবসা করেন; আসলে এটা খুব দুর্ভাগ্যের বিষয়, রমজান মাসে কিংবা বিভিন্ন চাহিদার মাসে তারা যে করেই হোক জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে এটি নেই। উৎসব পার্বণে সবসময় তারা দাম কমায়। আর আমাদের দেশে দেখি উল্টো। শুধু তাই নয়, অনেক সময় তারা পণ্য আমদানি করতে একটু ঢিলেমি করে, জিনিসের দাম বাড়িয়ে চাহিদা বাড়িয়ে তারপর তারা ব্যবসা করতে চায়। এটা আসলে অমানবিক। যারা মজুতদারি, কালোবাজারি এবং এলসি খোলা নিয়ে দুই নম্বরি করবে তাদের বিরুদ্ধে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং নেব। প্রয়োজনে আমরা আরও কঠোর ব্যবস্থা নেব।”

Link copied!