• ঢাকা
  • বুধবার, ২১ মে, ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২৩ জ্বিলকদ ১৪৪৬

আ.লীগ নেতা রানার ‘অপহরণ’ নিয়ে যা জানাল প্রেস উইং


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মে ২১, ২০২৫, ১১:১৭ এএম
আ.লীগ নেতা রানার ‘অপহরণ’ নিয়ে যা জানাল প্রেস উইং

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া আওয়ামী লীগ নেতা নির্মলেন্দু দাস রানার অপহরণের বিবরণ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

মঙ্গলবার (২০ মে) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ কথা জানানো হয়।

প্রেস উইং তাদের যাচাই করা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট-সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস-এ পোস্ট করা এক বিবৃতিতে জানায়, নির্মলেন্দু দাস রানা নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার গ্রেপ্তার ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা দাবি প্রচারিত হচ্ছিল। 

গত ১৮ মে এক্স এবং ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকটি পোস্টে চাঞ্চল্যকর এ দাবি প্রচার শুরু হয়। এতে বলা হয়, সিলেটের নবীগঞ্জ উপজেলার করগাও ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং পৌর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু দাস রানাকে (৪৫) জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা অপহরণ করেছে।

কিছু কিছু প্রতিবেদনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে নীরব থাকার অভিযোগ করেছে। ইসলামী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী এবং এর ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতি তার সমর্থনের ইঙ্গিতও দিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, তদন্তে জানা গেছে, দাবিগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। রানাকে কেউ অপহরণ করেনি, বরং সিলেট শহরের একটি বাজারে ঘুরে বেড়াতে দেখে স্থানীয় কিছু লোক তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নির্মলেন্দু দাস রানা এরই মধ্যে একাধিক ফৌজদারি মামলার পলাতক আসামি ছিলেন। রাজনৈতিক বিরোধীদের দ্বারা আয়োজিত একটি সমাবেশে হামলার জন্য ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে দায়ের করা মামলার তিনি প্রধান সন্দেহভাজন ছিলেন।

প্রেস উইং জানিয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের সময় ছাত্রদের ওপর হামলার জন্যও রানার নামে মামলা করা হয়েছিল।

সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুসারে, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সময় রানা তার এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে অনিয়ম ও দুর্নীতির একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া সত্ত্বেও তিনি বেপরোয়া এবং নিয়ন্ত্রণহীন ছিলেন। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ২০২১ সালে রানাকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ইউনিয়ন কর তহবিল থেকে ১৯ দশমিক ০৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগও তার বিরুদ্ধে ছিল।

গত ১৭ মে রাতে সিলেট শহরের একটি বাজারে স্থানীয়রা রানাকে চিনতে পারে এবং সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে হস্তান্তরের আগে তাকে লাঞ্ছিত করে। সুতরাং, রানার অপহরণের বর্ণনা ভিত্তিহীন, বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে।

Link copied!