• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২, ২ জ্বিলকদ ১৪৪৬

কৃষিপণ্যের ৬ বিশেষ ট্রেনের ৫টিই বন্ধ


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২৪, ০২:৪৮ পিএম
কৃষিপণ্যের ৬ বিশেষ ট্রেনের ৫টিই বন্ধ
কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন। ছবি: সংগৃহীত

কৃষকের উৎপাদিত সবজি অতি দ্রুত রাজধানীতে এনে কম খরচে সরবরাহের জন্য চালু করা ‘কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন’ বন্ধ হয়ে গেছে। কৃষকদের সাড়া না পাওয়ার পাশাপাশি খরচ তুলতে না পারায় ছয়টি রুটের মধ্যে পাঁচটিই বন্ধ হয়ে গেছে। তবে ঢাকা-খুলনা রুটের ট্রেনটি আপাতত চালু থাকছে।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক সুজিত কুমার বিশ্বাস জানান, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ১ নভেম্বর রাতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করেছে। রহনপুর রেলস্টেশনের মাস্টার মামুনুর রশীদ বলেন, “তাদের জানানো হয়, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন। তবে কেন বন্ধ হচ্ছে তা জানানো হয়নি।”

এর আগে ২৬ অক্টোবর সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে কোনো পণ্য ছাড়াই শূন্য লাগেজে ঢাকার উদ্দেশ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর রেলস্টেশন ছেড়ে যায় কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন। উদ্বোধনের সেই দিনই ঢাকায় এসেই বন্ধ হয়ে যায় বিশেষ ট্রেনটি।

রেলওয়ে সূত্রমতে, রহনপুর-ঢাকা রুটে ট্রেনটিতে পাঁচটি লাগেজ ভ্যান বগি ছিল। যার মধ্যে একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বগি। বাকি চারটি সাধারণ বগি। সেসব লাগেজ ভ্যানে কৃষিপণ্যের মধ্যে ফল, সবজি ছাড়াও রেফ্রিজারেটেড লাগেজ ভ্যানে হিমায়িত মাছ, মাংস ও দুধ পরিবহনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল।

এমনকি, লাগেজ ভ্যানের সঙ্গে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের ঢাকায় যাওয়ার জন্যও ব্যবস্থা ছিল। সবজির সঙ্গে তাদের বিনা ভাড়ায় যাওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছিল ট্রেনটিতে। তবে হিসাব করে দেখা গেছে, রহনপুর স্টেশন থেকে পণ্য পরিবহনে ভাড়া কেজিপ্রতি ১ টাকা ৩০ পয়সা। এর সঙ্গে মাঠ থেকে স্টেশন, স্টেশন থেকে মোকাম আলাদা পরিবহন খরচ ও কুলি খরচ মিলে প্রতিকেজির খরচ দাঁড়ায় ৩ টাকারও বেশি। অন্যদিকে, ট্রাকে মালামাল পরিবহনের খরচ হয় দুই থেকে আড়াই টাকা।

এসব কারণে চালু হলেও কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেনে সাড়া মেলেনি। ব্যবসায়ীদের দাবি, মূল ভাড়া কম থাকলেও কুলি ও অন্য পরিবহন খরচ মিলে সড়কপথের চেয়ে ট্রেনে খরচ পড়ছে বেশি। তাছাড়া ট্রেনের সময় সকালে হওয়ায় বাজারজাত নিয়েও রয়েছে নানা শঙ্কা। ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়সহ নানা কারণে সময়মতো মালামাল পৌঁছাতে না পারলে ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়েও শঙ্কা কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।

Link copied!