• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২, ৩ জ্বিলকদ ১৪৪৬
দুই দলের সমাবেশ শুক্রবার

আগারগাঁওয়ে আ.লীগ, পল্টনে বিএনপি


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০২৩, ০৯:৫৭ পিএম
আগারগাঁওয়ে আ.লীগ, পল্টনে বিএনপি

আগারগাঁওয়ের বাণিজ্য মেলার মাঠটি সমাবেশের জন্য উপযোগী না হওয়ায় আওয়ামী লীগের সমাবেশ বৃহস্পতিবারের (২৭ জুলাই) না করে শুক্রবার (২৮ জুলাই) করবে বলে জানিয়েছেন দলটির দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। অপরদিকে, নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় কিংবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার মহাসমাবেশ স্থগিত করেছে দলটি। তবে শুক্রবার নয়াপল্টন মহাসমাবেশ করবে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (২৬ জুলাই) দুই দল থেকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

এ বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু গণমাধ্যমকে বলেন, “বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশের পরিবর্তে শুক্রবার পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে যৌথ সমাবেশ করবে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ।”

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনুমতি না দেওয়ায় আগারগাঁওয়ের পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে সরে যায় আওয়ামী লীগের সমাবেশস্থল।

প্রথমে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠন শান্তি সমাবেশ অনুমতি চেয়েও পায়নি। পরে তাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়াম মাঠকে সমাবেশের জন্য বেছে নিতে পরামর্শ দেয় ডিএমপি। কিন্তু  বাঁধ সাধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারা জিমনেশিয়াম মাঠে সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ায় এবার সিদ্ধান্ত হয়েছে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে শান্তি সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগের এই তিন সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং স্বেচ্ছাসেবকলীগ।

এদিকে, বুধবার সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “বৃহস্পতিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অথবা নয়াপল্টনে এ মহাসমাবেশ অনুষ্ঠানের কথা গত ২৩ জুলাই ঢাকা মহানগর পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। মহানগর পুলিশ কর্তৃপক্ষ আমাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উচ্চ আদালতের আপত্তি এবং কর্ম দিবসে নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠানে জনদুর্ভোগের অজুহাতে সমাবেশ অনুষ্ঠানে আপত্তি জানিয়েছে। যদিও ইতোপূর্বে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবং কর্ম দিবসে নয়াপল্টনে অসংখ্য সমাবেশ ও মহাসমাবেশের দৃষ্টান্ত রয়েছে।”

তিনি বলেন, “বিএনপি বরাবরই শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী, তাই সরকার ও সরকার দলীয় বিভিন্ন বাহিনীর নানা উসকানি, এমন কী গত প্রায় এক বছরে ২০ জন নেতাকর্মী হত্যা ও অসংখ্য নেতাকর্মী নির্যাতিত হওয়ার পরেও সীমাহীন ধের্য ও সহিষ্ণুতার পরিচয় দিয়েছে।”

মির্জা ফখরুল বলেন, “এই মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ সারা দেশে অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ও হচ্ছে। ঢাকার বিভিন্ন হোটেল এবং সারা দেশে নেতাকর্মীদের বাসা বাড়িতে পুলিশি তল্লাশি চালানো হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে ২৭ জুলাই পরিবর্তে ২৮ জুলাই দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে পূর্ব ঘোষিত মহাসমাবেশ অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিচ্ছি। আশা করি, দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে চলমান গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আয়োজিত এ মহাসমাবেশ অনুষ্ঠানে সরকার কিংবা সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠান বাধা সৃষ্টি করবে না।”

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!