দেশের সব শিল্পাঞ্চলে ফাইভ জি সেবা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা ২০২৩ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিন দিনব্যাপী এই মেলা চলবে আগামী শনিবার (২৮ জানুয়ারি) পর্যন্ত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চায় সরকার। এ জন্য দেশের সব শিল্পাঞ্চলে ফাইভজি সেবা নিশ্চিত করা হবে।”
এবারের মেলার মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের সংযুক্তির মহাসড়ক’।
মেলায় ৫২টি প্যাভিলিয়নে বিভিন্ন ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য প্রদর্শন করবে। এর মধ্যে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল, ট্রিপল প্লে (এক ক্যাবলে ল্যান্ডফোনের লাইন, ইন্টারনেট ও ডিশ সংযোগ), মোবাইল অ্যাপস, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ও ডিজিটাল প্রযুক্তি ইত্যাদি প্রদর্শন করা হবে। এছাড়া প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান জেডটিই ও হুয়াওয়ে তাদের উদ্ভাবিত পণ্য প্রদর্শন করবে। পাশাপাশি দেশি সফটওয়্যার কোম্পানিগুলো তাদের তৈরি সফটওয়্যার ও সেবা উপস্থাপন করবে। টেলিকম অপারেটরগুলো তাদের ভয়েস, ইন্টারনেট ও মূল্য সংযোজিত সেবা (ভ্যাস) দেখাবে। মেলায় লাইভ দেখা যাবে ফাইভ জি।
২৬ জানুয়ারি উইন্ডি টাউন হলে বেলা ৩টায় ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এমপি। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ফেয়ার গ্রুপের চিফ মার্কেটিং অফিসার মো. মেসবাহ উদ্দিন।
২৭ জানুয়ারি মিডিয়া বাজারে বেলা ১১টায় ‘পঞ্চম শিল্পবিপ্লব ও ফাইভ জি অবকাঠামো: বাংলাদেশের প্রস্তুতি’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করবেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
২৭ জানুয়ারি উইন্ডি টাউনে বেলা ১১টায় ‘দুর্যোগকালীন টেলিযোগাযোগ খাত’ শীর্ষক পূর্ব ও পরবর্তী কৌশল নির্ধারণী আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করবেন দুর্যোগব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. মোহাম্মদ এনামুর রহমান।
২৮ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টায় ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান হবে। ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।