ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে একসঙ্গে জন্ম নেওয়া ৬ নবজাতকের মধ্যে ৫টি মারা গেছে। রোববার রাতে দুই নবজাতক ও সোমবার সকালে আরও দুই নবজাতক এবং সন্ধ্যার দিকে আরও এক নবজাতক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ নিয়ে মোট পাঁচ নবজাতকের মৃত্যু হলো।
এর আগে রোববার সকাল ৯টার দিকে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার মোকসেদা আক্তার প্রিয়া (২৩) ঢামেকের গাইনি বিভাগের লেবার ওয়ার্ডে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম দেন। তাদের মধ্যে তিনজন ছেলে ও তিনজন মেয়ে।
জন্ম নেওয়া নবজাতকদের মধ্যে তিনজনকে ঢামেকের নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) এবং বাকিদের একটি বেসরকারি হাসপাতালের এনআইসিইউতে রাখা হয়েছিল। গত রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত ঢামেকে তিন নবজাতক এবং বেসরকারি হাসপাতালে এক নবজাতকের মৃত্যু হয়। বর্তমানে নীলক্ষেত এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে একটি কন্যা নবজাতক সুস্থ রয়েছে। শিশুদের মা প্রিয়া সুস্থ আছেন।
সোমবার সন্ধ্যার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রিয়ার ননদ ফারজানা আক্তার জানান, জন্ম নেওয়া নবজাতকদের মধ্যে তিনজনকে ঢামেকের নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) এবং বাকিদের একটি বেসরকারি হাসপাতালের এনআইসিইউতে রাখা হয়েছিল। সোমবার সন্ধ্যার দিকে একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও এক কন্যা নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে গত রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত ঢামেকে তিন নবজাতক এবং বেসরকারি হাসপাতালে এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছিল। বর্তমানে নীলক্ষেত এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে একটি কন্যা নবজাতক সুস্থ রয়েছে।
তিনি আরও জানান, প্রিয়া নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের কাতারপ্রবাসী মো. হানিফের স্ত্রী। তার গর্ভধারণের ২৭ সপ্তাহ চলছিল। আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে পাঁচ সন্তানের কথা জানা গেলেও শেষ পর্যন্ত ছয় নবজাতকের জন্ম হয়।
ঢামেকের গাইনি বিভাগের ইউনিট-১ এর অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডা. আবিদা সুলতানা বলেন, ‘২৭ সপ্তাহে প্রিম্যাচিউর ডেলিভারিতে জন্ম নেওয়া শিশুদের মেডিকেল টার্মে ইনঅ্যাবিটেবল অ্যাবোরশন বলা হয়। প্রতিটি শিশুর ওজন ছিল মাত্র ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রামের মতো।’
তিনি আরও জানান, এর আগে প্রিয়ার একটি পূর্ণাঙ্গ সন্তান জন্ম হলেও প্রসবকালেই তার মৃত্যু হয়েছিল।
