২০৪০ সাল পর্যন্ত আয়কর অব্যাহতি পাবে ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল বা বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং এর যন্ত্রাংশ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। বৈদ্যুতিক গাড়ির উপযোগী লেড বা লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি উৎপাদনেও কর অব্যাহতি দেওয়া হবে।
এ ছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে থাকবে প্রণোদনা। পাশাপাশি ২০৩০ সাল পর্যন্ত সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, করপোরেশনের নতুন যানবাহন কেনার ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল কেনার নির্দেশনা দেওয়া হবে।
এ ধরনের আরও কিছু প্রস্তাবনা দিয়ে ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা, ২০২৫-এর খসড়া প্রকাশ করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। নীতিমালার খসড়াটি অংশীজনের মতামতের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশের মাধ্যমে নতুন ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ পণ্য গড়ে তুলতে এ খাতে নানা সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে খসড়া নীতিমালায়।
মোট ছয়টি লক্ষ্যের কথা বলা হয়েছে খসড়া নীতিমালায়। প্রথমটি হচ্ছে ইলেকট্রিক ভেহিক্যালের মতো সর্বাধুনিক প্রযুক্তির গবেষণা, উন্নয়ন, প্রচার ও প্রসার নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের শিল্পোন্নয়ন ত্বরান্বিত করা, রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাড়ানো এবং অধিকতর কর্মসংস্থান সৃষ্টি। অন্য লক্ষ্যগুলো হচ্ছে জীবাশ্ম জ্বালানি দ্বারা চালিত যানবাহনের ব্যবহার কমিয়ে সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব যানবাহনের ব্যবহার বাড়ানো, যানবাহন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি ও সার্টিফিকেট প্রদান ব্যবস্থা সহজ ও জোরদার করা, নতুন বাজারে সহজ প্রবেশের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া, স্থানীয় উৎপাদন উৎসাহিত করতে কর ও আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া এবং এ শিল্পের ধারাবাহিক প্রসারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দক্ষতা উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন।
এ ধরনের গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কে খসড়া নীতিমালায় বলা হয়, ইঞ্জিনচালিত মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস সার্টিফিকেট এবং ট্যাক্স টোকেন, রুট পারমিট যে ফরমেটে দেওয়া হচ্ছে, ইলেকট্রিক ভেহিক্যালের ক্ষেত্রেও তা ব্যবহার করা হবে। সংশ্লিষ্ট এলাকার জন্য নির্ধারিত সিলিং অনুযায়ী ইলেকট্রিক মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হবে। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া ইলেকট্রিক থ্রি-হুইলার ও মোটরসাইকেল ক্রেতার কাছে হ