• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৭

আদালত প্রাঙ্গনে কাঁদলেন মেঘনা আলম


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫, ০৫:১৯ পিএম
আদালত প্রাঙ্গনে কাঁদলেন মেঘনা আলম

ধানমণ্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদাবাজি মামলায় জব্দ করা পাসপোর্ট, মোবাইল ও ল্যাপটপ ফেরতের আবেদন নাকচ করেছেন আদালত—এমন সিদ্ধান্তের পর শোকাভিভূত দেখালেন অভিযুক্ত মডেল ও অভিনেত্রী মেঘনা আলম। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমানের আদালত তার আবেদন নাকচ করেন।

আদালত প্রাঙ্গণে কান্নায় ভেঙে পড়া মেঘনা পরে সাংবাদিকদের বলেন, “তারা (রাষ্ট্রপক্ষ) আমার বিরুদ্ধে একটার পর একটা মিথ্যা বলছে। আমাকে জনগণের সামনে অপমান করা হচ্ছে। এমনভাবে মিথ্যা বলা হলে আমরা কীভাবে ন্যায় বিচার পাবো?”

এদিন সকাল ১১টার দিকে কুরআন হাতে এবং হিজাব পরে আদালতে উপস্থিত হন মেঘনা। শুনানিতে তিনি জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তিনি পাসওয়ার্ড দিয়েছেন এবং তদন্তকারী যোগাযোগও জানিয়েছে ডিভাইস আনলক করা হয়েছে—তাই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্যুরে অংশ নেয়ার জন্য পাসপোর্ট, মোবাইল ও ল্যাপটপ ফেরত চাইছেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মহসীন রেজা বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা ফরেনসিক রিপোর্ট শেষ না হওয়ায় সময় চেয়ে একটি পিটিশন করেছেন; এ কারণেই আদালত তাদের পাসপোর্ট ফেরত পাবে এমন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন। তিনি দাবি করেন ফরেনসিক রিপোর্ট ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করা হচ্ছে এবং দু মাসে একটা ফরেনসিক রিপোর্ট তৈরী হওয়া উচিত—তবে বারবার তাকে বিলম্ব করা হচ্ছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হারুনুর রশিদ আদালতকে জানান, মেঘনা আলমকে গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে দুটি মোবাইল, একটি ল্যাপটপ ও একটি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়। তদন্তকারী গত ২৬ আগস্ট মোবাইল ও ল্যাপটপ আনলক করতে পাসওয়ার্ড চেয়েছিলেন, এবং ৩১ আগস্টও আদালত মেঘনাকে পাসওয়ার্ড প্রদানের নির্দেশ দিয়েছিল। তবে তদন্তকারী দফতর এখনও পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করতে পারেনি বলে জানানো হয়েছে; যার ফলে ফরেনসিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়নি। আদালতও উদ্ধৃত করেছেন—যদি জব্দকৃত ডিভাইসগুলো পরীক্ষা না করা হয় এবং কোনো রাষ্ট্রবিরোধী উপাদান আছে কি না জানা না যায়, তাহলে পাসপোর্ট ফেরত দিলে অভিযুক্ত বিদেশে চলে যেতে পারে।

সংবাদকর্মীদের সামনে কাঁদতে কাঁদতেই মেঘনা বলেন, ডিবি তাকে ভুল করে ‘মেঘলা আলম’ বলেছেন ও তার পরিচয় ‘মডেল’ বলে জানিয়েছে—যদিও তিনি নিজেকে রাজনৈতিক প্রশিক্ষক ও মিস আর্থ বাংলাদেশের ডিরেক্টর হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, সৌদি রাষ্ট্রদূতের ইশারায় তিনি ন্যায় বিচার পাচ্ছেন না; এক বিদেশি তার বিরুদ্ধে প্রভাব প্রয়োগ করছেন এবং তাকে হয়রানি করা হচ্ছে।

মেঘনা আদালতে উল্লেখ করেন, ২০১৪ সালে ড. ইউনূসের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সফরের এক সুযোগে তার সম্পর্কে সুপারিশ পেয়েছিলেন এবং সাম্প্রতিক সময়ে তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন—এগুলো বিচার ব্যবস্থায় সঠিকভাবে প্রতিফলিত করা হয়নি, বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

আদালত প্রক্রিয়া ও ফরেনসিক প্রতিবেদন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত পাসপোর্ট, মোবাইল ও ল্যাপটপ জব্দ রাখা হবে বলে ইঙ্গিত দেন আদালত। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!