আগামী মাসে রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজসহ আট শ্রেণির অংশীজনের সঙ্গে সংলাপে বসবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর পাশাপাশি সীমানা নির্ধারণ, ভোটার তালিকা চূড়ান্ত, দল নিবন্ধন, পর্যবেক্ষক সংস্থা চূড়ান্ত করাসহ ২৪টি কাজকে প্রাধান্য দিয়ে নির্বাচনী পথনকশা (রোডম্যাপ) ঘোষণা করেছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ইসির জ্যেষ্ঠ সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এই পথনকশা ঘোষণা করেন।
জাতীয় নির্বাচনকে লক্ষ্য করে পদক্ষেপগুলোকে মূলত ২৪টি ভাগে ভাগ করে আমরা এই পরিকল্পনা প্রস্তুত করেছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনের সঙ্গে আলোচনার পর তাদের মতামত অনুযায়ী কর্মপরিকল্পনায় নতুন বিষয় সংযোজন হতে পারে। তবে কিছু বিয়োজন হবে না।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপিসহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল ইসির পথনকশাকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতাদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বলেছে, জুলাই সনদ ঘোষণার পর এটা দিলে ভালো হতো।
এর আগে গত বুধবার ইসির বৈঠকে পথনকশায় অনুমোদন দেওয়া হয়। এর পর বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এর বিস্তারিত দিক তুলে ধরা হয়। সেখানে আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট আয়োজনের লক্ষ্য পূরণে নির্বাচনী আইন-বিধি সংস্কার, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, পোস্টাল ভোটিং, দেশি-বিদেশি সাংবাদিক অনুমোদন; নির্বাচনের জনবল ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা, নির্বাচনী দ্রব্যাদি সংগ্রহ, আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক কার্যক্রম; ম্যানুয়াল, প্রশিক্ষণ; নির্বাচনী বাজেট বরাদ্দ, প্রচারণা ও উদ্বুদ্ধকরণ, টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সুসংহতকরণ, বেসরকারি প্রাথমিক ফলাফল প্রচার, প্রদর্শন, প্রকাশ, প্রচার ইত্যাদি বিষয় উঠে এসেছে।
ইসি সচিব বলেন, ‘ভোট গ্রহণের ৬০ দিন আগে তফসিল দেওয়া হবে। প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর নির্বাচন কমিশনকে আগামী রমজানের আগে ভোট করার জন্য বলেছে। আমার যদি ভুল না হয়ে থাকে, তাহলে ১৭ বা ১৮ ফেব্রুয়ারি রমজান শুরু। আবার রমজান তো চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল। এভাবে নির্বাচনের তারিখ বের করতে পারেন।’
গণপরিষদ, গণভোট ও জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা জাতীয় নির্বাচনের জন্য। কাজেই সংসদ নির্বাচনের বাইরে অন্য কিছু ভাববার সুযোগ নেই আমাদের।
অবাধ-শান্তিপূর্ণ ভোটে স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি নিশ্চিতে ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করা এবং নির্বাচনী প্রচারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহার রোধকে আগামী নির্বাচনের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে বর্ণনা করে ইসি সচিব বলেন, একটু পরই কী ঘটবে, সেটা বলার মতো ভবিষ্যৎদ্রষ্টা আমরা নই। পরিস্থিতি আসবে। সেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার মানসিক দৃঢ়তা ইসির রয়েছে।






























