আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা বা রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রোডম্যাপ ঘোষণ করেন।
আখতার আহমেদ বলেন, ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী সংসদ নির্বাচন হবে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে এবং তফসিল ঘোষণা করা হবে চলতি বছরের ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে। চার কমিশনারের বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের সভাপতিত্বে এই কর্মপরিকল্পনা অনুমোদন হয়েছে।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, আমরা যে কর্মপরিকল্পনা (রোডম্যাপ) করেছি, সে কর্মপরিকল্পনা আপনাদের জানাব। আমি ঢাকার বাইরে থাকায় একটু পিছিয়ে পড়েছি। এটা আমার টেবিলে এখন আছে। আগামীকাল (আজ) পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করেন।
এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের সভাপতিত্বে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব এক বৈঠকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ অনুমোদন করেন।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, কর্মপরিকল্পনার সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে গেছে। অনুমোদন হয়েছে, এখন শুধু টাইপিং চলছে।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, রোডম্যাপে নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কাজগুলো কখন কোনটি শেষ হবে তা উল্লেখ রয়েছে। ওই সময়সূচি ধরে নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কাজ শেষ করবেন ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ইসি সূত্র জানায়, রোডম্যাপে সেপ্টেম্বর মাসে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করার ঘোষণা দিতে যাচ্ছে কমিশন। এ ছাড়া আইন সংস্কার, সংসদীয় আসনের সীমানা চূড়ান্তকরণ, নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন, পর্যবেক্ষক নিবন্ধন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নির্বাচনী সামগ্রী ক্রয়, প্রবাসীদের ভোটাধিকার ও ভোটের ব্যালট-ফরমসহ বিভিন্ন ধরনের খাম মুদ্রণ, ভোটকেন্দ্র চূড়ান্ত করা, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ এবং নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কোন সময়ের মধ্যে শেষ করা হবে তা উল্লেখ থাকবে রোডম্যাপে। তবে রোডম্যাপে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা এবং ভোটের তারিখ উল্লেখ থাকবে না।
ইসির কর্মকর্তারা আরও জানান, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে চলতি বছরের ডিসেম্বরে তপশিল ঘোষণা করবে ইসি। ওই লক্ষ্য সামনে রেখে এ রোডম্যাপ ঘোষণা করতে যাচ্ছে কমিশন। তারা জানান, নির্বাচনী প্রস্তুতিমূলক কাজগুলো চলমান রয়েছে। রোডম্যাপে এসব কাজ কোন সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে, সেই সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হবে। এর মধ্য দিয়ে নির্বাচন নিয়ে মানুষের শঙ্কা কিছুটা হলেও কমবে।