• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২৩ জ্বিলকদ ১৪৪৬

‘২১০ পত্রিকা বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১, ০২:৩১ পিএম
‘২১০ পত্রিকা বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার’

ডিক্লারেশন নিয়ে যেসব পত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে না, সেগুলোকে ‘ব্রিফকেসবন্দি’ পত্রিকা বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‍“এরকম ২১০টি পত্রিকা বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার, ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।”

বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে রাজশাহী বিভাগ সাংবাদিক সমিতি, ঢাকার দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, “সংবাদপত্র সেক্টরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। অনেকেই ডিক্লারেশন নিয়ে পত্রিকা বের করেন না। তাদের জন্য মূলধারার গণমাধ্যমগুলো বিপদে পড়ছে। এ কারণে আমরা এসব পত্রিকা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

তথ্যমন্ত্রী বলেন, “সাংবাদিকরা গণমাধ্যম পরিচালনা করেন আর গণমাধ্যম হচ্ছে সমাজের দর্পণ। সাংবাদিকদের কাছে আমার একটি অনুরোধ, কোথাও কোনো ব্যত্যয় হলে সেটি যেমন প্রচার করতে হবে, একইসঙ্গে যখন সাফল্য আসবে, সেটিও ফলাও করে প্রচার করতে হবে। কারণ শুধু ব্যত্যয় হলে সেটিই যদি প্রচার হয় আর সাফল্যের কথা প্রচার না হয়, তাহলে সঠিকভাবে সমাজ ও রাষ্ট্রের চিত্র পরিস্ফুটন হবে না এবং দর্পণটিও সঠিকভাবে কাজ করছে সেটি বলা যাবে না।”

গণমাধ্যমের সুষ্ঠু বিকাশ এটি রাষ্ট্রের বিকাশের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা ও  প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা সেটি বিশ্বাস করেন বিধায় গত ১২ বছরে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে উল্লেখ করে হাছান বলেন, “গণমাধ্যমের দ্রুত বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে কিছু ধান্দাবাজও যুক্ত হয়েছে, এটিই বাস্তবতা। গণমাধ্যমকে কেউ নিজের স্বার্থে, কেউ ব্যবসায়িক ‘প্রোটেকশন’ দেয়ার জন্য ব্যবহারের চেষ্টা করছে আবার কেউ একটি ব্রিফকেস নিয়ে গণমাধ্যমের মালিক হয়ে যাচ্ছে, উনিই মালিক, উনিই সাংবাদিক, উনিই রিপোর্টার।  এই দপ্তর থেকে ওই দপ্তরে ঘুরে বেড়ান বিজ্ঞাপন ‘কালেকশন’ করেন এবং সেই বিজ্ঞাপন যেদিন পান সেদিন পত্রিকা ছাপেন। ১০০ পত্রিকা ছাপেন, ১০০ দপ্তরে দেন। এতে ভালো গণমাধ্যমগুলো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে, অনেক সময় টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এজন্য ‘ব্রিফকেসবন্দি’ পত্রিকা যেগুলো আসলে ছাপায় না, মাঝে মধ্যে হঠাৎ ছাপায়, সেগুলো আমি বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছি। ইতিমধ্যেই ২১০টি পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করার জন্য জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠি লেখা হয়েছে।” 

এ সময় সংবাদপত্রের মালিকদের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “করোনাকালে সব সংবাদপত্র বিপদে পড়েছিল, যার কারণে অনেকেই কর্মী ছাঁটাই করেছেন। আমি তাদের অনুরোধ করবো ছাঁটাইকৃত কর্মীদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে। একই সঙ্গে সাংবাদিকদের বিমার আওতায় আনার অনুরোধ জানাচ্ছি। এতে সাংবাদিকরা উপকৃত হবেন এবং মালিকরা তাদের কর্মীদের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।”

এ সময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু প্রমুখ।

Link copied!